শিলিগুড়ি হিলকার্ট রোডের এক গয়নার দোকানে সশস্ত্র ডাকাতির ঘটনায় ধৃত দুই অভিযুক্তকে আজ আদালতে পেশ করা হয়। ধৃতদের নাম শফিক খান তুল্লাহ, যিনি রাজস্থানের বাসিন্দা, ও সামশেদ শেখ, যিনি বিহার থেকে এসেছেন। ডাকাতির পরপরই ঘটনার তদন্তে নেমে তৎপর হয় শিলিগুড়ি থানার পুলিশ ও এসওজি (SOG)। ধৃতদের হেফাজত থেকে আগ্নেয়াস্ত্র এবং একটি বাইক উদ্ধার হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসছে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য।

সোমবার দুপুরে শিলিগুড়ি থানায় পৌঁছান পুলিশ কমিশনার সি সুধাকর। উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকদের নিয়ে তিনি তদন্তের অগ্রগতি খতিয়ে দেখেন। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই ঘটনায় ভিনরাজ্য যোগ স্পষ্ট। সেই কারণে রাজস্থান ও বিহারের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন ডিডি ও এসওজির একটি বিশেষ দল।
অন্যদিকে, শিলিগুড়ি পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সিপিআইএম। পুলিশের ‘নিষ্ক্রিয়তা’র অভিযোগ তুলে সিপিআইএম দাবি জানিয়েছে পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগের। দলের তরফে নুরুল ইসলাম বলেন, “শহরের আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়ছে। প্রশাসনের ব্যর্থতার কারণেই দুষ্কৃতীরা এতটা সাহস পাচ্ছে।”
এই মন্তব্যের পাল্টা দেন শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব। তিনি বলেন, “সিপিআইএম নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতেই এসব বলছে। ওদের আমলে রাজ্যে ‘লাল সন্ত্রাস’ চলতো। যারা একসময় ঘাতক রাজনীতি করেছে, তাদের এসব কথা মানায় না।”
পুলিশ জানিয়েছে, তদন্তে আরও কয়েকজনের নাম উঠে এসেছে। খুব শীঘ্রই এই চক্রের বাকি সদস্যদের গ্রেপ্তারে বড়সড় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।