৮দফা দাবিকে সামনে রেখে মঙ্গলবার কোচবিহার শহরের সুনীতি রোডের পার্শ্ববর্তী ব্রাহ্ম মন্দির কমপ্লেক্স চত্বরে অবস্থান, বিক্ষোভ কর্মসূচিতে শামিল হল পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি পেনশনার্স সমিতি। এদিন বেলা ১টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত চলে তাদের এই কর্মসূচি।
এদিনের এই বিক্ষোভ সভায় দাবি প্রস্তাব উত্থাপন করেন সংগঠনের কোচবিহার জেলা যুগ্ম সম্পাদক শেখর বর্মা। এই উত্থাপিত দাবি প্রস্তাবের সমর্থনে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কোচবিহার জেলা সম্পাদক জগৎজ্যোতি বর্মা, কর্মচারী আন্দোলনের নেতা বাদল শর্মা, ১২ই জুলাই কমিটি কোচবিহার জেলা অন্যতম যুগ্ম আহ্বায়ক আশিস গোস্বামী, পশ্চিমবঙ্গ পঞ্চায়েত পেনশনার্স সমিতির পক্ষে সেকেন্দার আলি প্রমূখ।

এদিনের এই কর্মসূচি পরিচালনা করেন শ্যামল ভাদুড়ি, কামাক্ষ্যা চক্রবর্তী, ভারতী সরকার ও গীতা রায়কে নিয়ে গঠিত সভাপতিমন্ডলী।
যেদিন সংগঠনের কোচবিহার জেলা সম্পাদক জগৎজ্যোতি বর্মা বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার পে-কমিশনের বিচার্য বিষয়ের আওতা থেকে পেনশনারদের বাদ দিয়ে যে দুটি বিল পাস করিয়েছে, তা অবিলম্বে বাতিল করা। নয়া ৪টি শ্রম কোড বাতিল করা,সমস্ত পেনশনারদের বিধিবদ্ধ পেনশন ব্যবস্থার আওতায় আনা, অষ্টম কেন্দ্রীয় পে-কমিশনের সুফলকে কার্যকর করতে রাজ্যে রাজ্যে পে-কমিশন তৈরি করা, কর্মচারী ও পেনশনারদের ৫বছর অন্তর বেতন বা পেনশন বৃদ্ধি ঘটানো, কেন্দ্রীয় হারে বকেয়া ডিএ/ডিআর মেটানোর পাশাপাশি এরিয়ার মিটিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা, সমস্ত কর্মচারী, পেনশনার ও চুক্তিবদ্ধ কর্মচারীদের জন্য সরকারি উদ্যোগে হাসপাতালে ক্যাশলেস চিকিৎসার ব্যবস্থা করা, ট্রেন ও বিমান যাত্রার ক্ষেত্রে বরিষ্ঠ নাগরিক কনসেশন পূর্বের ন্যায়য় চালু করা, পেনশন কম্যুটেশনের অর্থমূল্য ১১বছরের ফেরত দেওয়া দাবিতে গোটা রাজ্যের পাশাপাশি কোচবিহার জেলাতেও এই আন্দোলনে সামিল হয়েছেন তারা।