মঙ্গলবার কোচবিহার ঘোকসাডাঙায় বিরোধী দলনেতার গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ এবং কোচবিহার শহরের উপকণ্ঠ খাগড়াবাড়িতে রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর গাড়িতে আক্রমণের ঘটনায় কোচবিহার জেলা পুলিশ সুপার, কোচবিহার কোতোয়ালি থানা এবং কোচবিহার জেলার ঘোকসাডাঙ্গা থানায় মেইল মারফত ৪১জনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেন বিরোধী দলনেতার আইনজীবী অনীশ কুমার মুখার্জি। এই অভিযোগ পত্রের প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেলকেও।

এই অভিযোগপত্রে অভিযুক্ত হিসাবে নাম রয়েছে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ, তৃণমূল কংগ্রেসের কোচবিহার জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক, মাথাভাঙ্গা ২নং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সাবলু বর্মন, তৃণমূল নেতা শুভঙ্কর দে, তৃণমূল যুব নেতা সায়নদীপ গোস্বামী, স্বপন বর্মন, কমলেশ অধিকারী সহ ৪১জন তৃণমূল নেতাকর্মীর। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে রয়েছে যথেষ্ট উত্তেজনা।
উচ্চ আদালতের রায়ে মঙ্গলবার পাঁচ বিজেপি বিধায়ককে সাথে নিয়ে কোচবিহার জেলা পুলিশ সুপারের সাথে দেখা করেন শুভেন্দু অধিকারী।
এদিন কোচবিহার শহরে প্রবেশের মুখেই খাগড়াবাড়ি এলাকায় তার কনভয় পৌঁছতেই গাড়ির ওপর হামলা চালায় তৃণমূল কংগ্রেস আশ্রিত দুস্কৃতিরা বলে অভিযোগ আনে বিজেপি। রীতিমতো গাড়ির কাঁচ ভেঙে দেওয়া হয় তার গাড়ির।
রাজ্যের বিরোধী দলনেতার কোচবিহার সফরের দিনই কোচবিহার শহরে ঢোকার বিভিন্ন রাস্তায়, অর্থাৎ মোট ১৯টি জায়গায় এনআরসি বিরোধী বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল তৃণমূল।
বিরোধী দলনেতাকে মেরে ফেলার জন্য অভিষেক ব্যানার্জীর নির্দেশে মন্ত্রী উদয়ন গুহ এবং কোচবিহার জেলা পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য তার গাড়িতে আক্রমণ করিয়েছে, কোচবিহার জেলা পুলিশ সুপারের দপ্তর থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একথা বললেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।