চাকরি টিকিয়ে রাখতে হলে TET উত্তীর্ণ হওয়া বাধ্যতামূলক— সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের এমন নির্দেশ ঘিরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে শিক্ষক মহলে। সারা দেশের প্রায় ৪০–৫০ লক্ষ এবং পশ্চিমবঙ্গের ৩–৪ লক্ষ কর্মরত শিক্ষক-শিক্ষিকা অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছেন বলে অভিযোগ।
ফালাকাটা সার্কেলের তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির দাবি, ২০১০ সালের ২৬শে অগস্টে বলবৎ হওয়া RTE আইনের আগে নিযুক্ত শিক্ষকদের জন্য TET বাধ্যতামূলক নয়। ২০১৫ সালের সংশোধনী আইনেও এর উল্লেখ ছিল না। তাঁদের অভিযোগ, কেন্দ্র সরকার ও NCTE-র যোগসাজশে শিক্ষক সমাজকে টার্গেট করা হচ্ছে।

অধ্যাপক, ডাক্তার, বিচারক নিয়োগের ক্ষেত্রে আইন কার্যকর হওয়ার তারিখ থেকেই নিয়ম প্রযোজ্য হয়। কিন্তু স্কুলশিক্ষকদের ক্ষেত্রে পুরনো নিয়োগকে টেনে এনে নতুন নিয়ম চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে কেন— তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা।
শিক্ষক সংগঠনের আশঙ্কা, বিপুল সংখ্যক শিক্ষক ছাঁটাই হলে শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। কেন্দ্রীয় সরকারের “চক্রান্তের” বিরুদ্ধে রাস্তায় নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছে সংগঠন।