আলিপুরদুয়ারে জেলাশাসকের দপ্তরে কালচিনির সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকের বিরুদ্ধে ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ, অভিযোগ করলেন এক রিসোর্ট ব্যবসায়ী ।মঙ্গলবার এমনই এক অভিযোগের কথা ছড়িয়ে পড়তেই শোরগোল পড়েগিয়েছে বিভিন্ন মহলে। আলিপুরদুয়ারে মাদক পাচারে রেলের সিভিক ভলেন্টিয়ার ও হোমগার্ডের গ্রেফতারির ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের এক প্রশাসনিক অধিরকিরের বিরুদ্ধে ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ কার্যত মুখ বন্ধ প্রশাসনিক আধিকারিকদের।

জানাগেছে কলচিনি ব্লকের মেন্দাবাড়ি জঙ্গলে থাকা এক রিসর্টের মালিক পেশায় ডা: কিংকর রায় কালচিনি ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেন। এদিকে পাল্টা সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক মিঠুন মজুমদার রিসোর্ট ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগের অভিযোগ তুলেছেন।
উল্লেখ্য, মেন্দাবাড়ী জঙ্গলে থাকা চিলাপাতা জঙ্গল লজের তরফে লজের লাইসেন্স রিনিউ করতে আবেদন করা হয়। এরপর গত ২০ জুন কালচিনি ব্লক অফিস থেকে সেই রিনিউয়াল করার জন্য রিসর্টের মালিককে অফিসে ডাকা হয়। কিন্তু, অভিযোগ সেইসময় কালচিনি’র সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক মিঠুন মজুমদার রিসোর্ট ব্যবসায়ী ডা: কিংকর রায় এর কাছে রিনিউয়াল এর জন্য অতিরিক্ত পাঁচ হাজার টাকা দাবি করেন। এরপরেই মঙ্গলবার দুপুর নাগাদ কালচিনি’র সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক মিঠুন মজুমদার এর বিরুদ্ধে আলিপুরদুয়ার জেলা প্রশাসনিক ভবন ডুয়ার্স কন্যায় জেলাশাসক দপ্তরের জবরদস্তি তোলা আদায়ের অভিযোগ তুলে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন আলিপুরদুয়ার হোটেল এন্ড রিসোর্ট এসোসিয়েশন।
এদিকে কালচিনি’র সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক মিঠুন মজুমদার রিসোর্ট ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে পাল্টা রিসর্টের কর চুরির অভিযোগ তোলেন। তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট রিসোর্ট ব্যবসায়ী ডা: কিংকর রায় দীর্ঘ ৫ বছর ধরে সরকারি কর ফাঁকি দিয়ে রিসোর্ট চালিয়েছেন। বিষয়টি জানার পর, তাকে রিসর্টের লাইসেন্স রিনিউ করার কথা বলা হয়। তার জন্য তাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ইতিমধ্যে তিনি নির্দিষ্ট টাকা জমাও করেন এবং তার লাইসেন্স রিনিউ করে দিয়েও দেয়া হয়েছে।কিন্তু তিনি বিষয়টিকে মিথ্যা অভিযোগ তুলে অন্য দিকে নিয়ে যাচ্ছেন।
এই বিষয়ে আলিপুরদুয়ার জেলা হোটেল এন্ড রিসোর্ট এসোসিয়েশন কর্ণধাররা বলেন, একদিকে রাজ্য সরকার পর্যটনের প্রসার ঘটাতে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধে করে দিচ্ছে। যাতে করে বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলি সরকারি নিয়ম মেনে সঠিক ভাবে পরিচালনা হয়। কিন্তু কালচিনীর সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক এভাবে পর্যটন ব্যবসায়ীদের হেনস্থা করছে। তাদের কাছ থেকে জোর জুলুম করে টাকা আদায়ের চেষ্টা করছে। উনি পর্যটন ব্যবসায় সমস্যা তৈরি করছেন। এই বিষয়ে আমরা বর্তমানে জেলা প্রশাসনের দারস্থ হয়ে গেছি। প্রয়োজন হলে রাজ্যের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হব।
এই বিষয়ে যদিও আলিপুরদুয়ার জেলা প্রশাসনের তরফে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে প্রশাসনের আধিকারিকের বিরুদ্ধে তলাবাজির অভিযোগ ওঠায় কার্যত বিপাকে জেলা প্রশাসন। সমস্ত ঘটনায় চাঞ্চল্য জেলা জুড়ে।