DIGITAL BANGLA NEWS

আপনার এলাকার খবর

কাজের সন্ধানে ভিন রাজ্যে পাড়ি দিচ্ছে উত্তরের চা বলয়ের অধিকাংশ যুবকরা

উত্তরের চা বলয় যুবক শূন্য। উত্তরের চা বলয়ের অধিকাংশ যুবকরা কাজের সন্ধানে ভিন রাজ্যে পাড়ি দিচ্ছে কেউ কেরলা, কেউ তামিলনাড়ু অথবা অন্য কোনো রাজ্যে চলে যাচ্ছে কাজের সন্ধানে। বর্তমানে চা বাগানে আর থাকছেনা যুবকরা। চা বাগানে গেলেই দেখা মিলবে বাগানে যারা কাজ করছে তার মধ্যে বর্তমানে ৮০% মহিলা শ্রমিক। এমনকি চা বাগানের শ্রমিক মহল্লায় গেলে দেখা মিলবে শুধু মহিলা ও বয়ষ্ক পুরুষ রয়েছে। যুবকদের দেখা মিলবেনা সমস্ত যুবক এমনকি কোনো কোনো ক্ষেত্র যুবতীরা ও চলে যাচ্ছে ভিন রাজ্যে কাজ করতে।
কেন চা বাগানে থাকছেনা যুবকরা এই প্রশ্নের উত্তরে চা বাগানের শ্রমিকরা জানান উত্তরের বর্তমানে অধিকাংশ চা বাগানের অবস্থা খারাপ অনেক চা বাগান দীর্ঘদিন থেকে বন্ধ অনেক চা বাগান রুগ্ন অবস্থায় রয়েছে যেসমস্ত বাগান খোলা আছে তার মধ্যে অনেক চা বাগানের অবস্থা খারাপ শ্রমিকদের নিয়মিত বেতন মিলছেনা এছাড়া অন্যান্য সূযোগ সুবিধা নেই বললেই চলে সেজন্য চা বাগানের যুবকদের আর চা বাগানে কাজ করার আগ্ৰহ নেই তাই চা বলয়ের যুবকদের মধ্যে ভিন রাজ্যে পাড়ি দেওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে।


একটা সময় ছিল উত্তরের চা বাগানের অবস্থা ভালো ছিল তখন এখানকার বাসিন্দারা বংশপরম্পায় চা বাগানে কাজ করতো। চা বাগান থেকে তখন সব রকম সুবিধা মিলতো কিন্ত বর্তমানে কিছুই নেই সুবিধা চা বাগানে। চা বাগানে বর্তমানে ২৫০ টাকা দৈনিক পারিশ্রমিক আর সেটাও সময় মত মিলেনা আর এই সামান্য পারিশ্রমিকে ঘর চালানো খুবই মুশকিল তাই এক প্রকার বলা চলে বাধ্য হয়ে এলাকার যুবকরা ভিন রাজ্যে পাড়ি দিচ্ছে। প্রতিনিয়ত উত্তরের কোনো না কোনো চা বাগান থেকে যুবকরা সব চলে যাচ্ছে বাইরে।

এই বিষয়ে আলিপুরদুয়ার বিজেপি সাংসদ মনোজ টিগ্গা জানান ৩৪ বছরে বাম আমলে চা বাগানে তার শুধু শোষণ করে গিয়েছে এমনকি বর্তমান রাজ্য সরকার আসার পর ও চা বাগানে হাল হকিকত কোনো পরিবর্তন হয়নি। দিনের পর দিন চা বাগানের অবস্থা খারাপ বর্তমানে চা বাগানের শ্রমিকরা পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে ভিন রাজ্যে কাজ করতে যাচ্ছে। উত্তরের চা বাগানে গেলে দেখা যাবে যেবাগানে এক হাজার শ্রমিক ছিল সেখানে হয়ত: তিনশ থেকে চারশো চা শ্রমিকরা বাকিরা বাগান ছেড়ে ভিন রাজ্যে চলে গেছে বেশিরভাগ পুরুষ শ্রমিকরা বাগান ছেড়ে চলে যাচ্ছে। বাগানে পুরুষ শ্রমিক নেই বললেই চলে এমনকি চা বাগানে যেসমস্ত কাজ পুরুষরা করতো যেমন ফ্যাক্টরি কাজ সেগুলো মহিলা করতো কেননা পুরুষ শ্রমিক নেই। চা বাগানে নূন্যতম মজুরি চালু হচ্ছেনা। এখানকার অনেক চা শ্রমিক আছে তারা দক্ষিণ ভারতে গিয়ে চা বাগানে কাজ করছে।
এই বিষয়ে তৃণমূল আলিপুরদুয়ার জেলা চেয়ারম্যান গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা জানান রাজ্য সরকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে যাহাতে চা বাগান গুলো ঠিক মত চলে। রাজ্য এস ও পি আইন করেছে আর এই এস ও পি মাধ্যমে বন্ধ চা বাগান খোলা হচ্ছে। তিনি আরো জানান বিজেপি শুধু নোংরা রাজনীতি করছে আসলে চা বাগান নিয়ে তারা কিছু করছেনা।

শেয়ার করুন...

Facebook
Twitter
WhatsApp
Telegram

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Live TV

play-sharp-fill

নতুন খবর আবার পড়ুন