নতুন শাড়ি, নতুন লেহেঙ্গা পড়ার পাশাপাশি নিজেদের সুন্দর করে সাজিয়ে করবাচৌথ পালন করলেন কালচিনির মহিলারা। সারাদিনের উপসের ক্লান্তি চোখে মুখে দেখা যায়না তাঁদের। বরং ব্রতের উৎসাহ তাঁদের মুখের হাসি বুঝিয়ে দেয়। এই করবা চৌথ ব্রত উৎসবের রূপ নেয় কালচিনিতে।
কালচিনি ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় শ্রদ্ধার সঙ্গে পালিত হল অবাঙালিদের করবা চৌথ অনুষ্ঠান।কালচিনি,জয়গাঁ, দলসিংপাড়া বিভিন্ন এলাকায় করবা চৌথের দিন দেখা যায় উৎসবের এই ছবি। এলাকার মন্দিরগুলিতে দেখা যায় অবাঙালি মহিলাদের এই ব্রত পালন করতে।

অনেকে আবার নিজের বাড়িতেও এই ব্রত পালন করেন।
কার্তিকের চতুর্থী তিথিতে পালিত হয় করবা চৌথ উৎসব।এই উৎসবে চন্দ্র দেবতার পুজো করা হয়।দেবতার উদ্দেশ্যে জল অর্ঘ্য দিয়ে তারপর স্বামীর মুখ দেখে ভাঙতে হয় উপোস।অবশ্য স্বামীরা স্ত্রীদের জল পান করিয়ে উপোস ভাঙান।
করবা চৌথ পালন করেন বিবাহিত মহিলারা।এদিন মহিলারা বিয়ের শাড়ি,লেহেঙ্গার সঙ্গে গয়না পড়েন।১৬ শৃঙ্গার করে এই উৎসবে যোগদান করেন।পাশাপাশি ভোরে উঠে সারগি খাওয়ার পর সারাদিন নির্জলা উপোস থেকে রাতে চাঁদ দেখে পুজো করে ব্রত ভাঙেন অবাঙালি মহিলারা।সারগি দিয়ে থাকেন বিবাহিত মহিলাদের শাশুড়িরা।
এই ব্রত অন্যতম কঠিন ব্রত বলে ব্রতীরা জানান।পাশাপাশি ব্রতে ব্যবহৃত জিনিসের দাম হয় এদিন আকাশছোঁয়া।তবুও স্বামীর মঙ্গলকামনায় এই ব্রত পালন করেন স্ত্রী-রা।