বাড়ির সামনে রাখা কফিন।কয়েকজন স্কুল পড়ুয়া কফিনের পাশে দাঁড়িয়ে।ফটোগ্রাফি করছে দুই যুবক।
রবিবার সকাল ১১ টা নাগাদ এই দৃশ্য দেখে চমকে যান শিলিগুড়ি পৌর নিগমের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের মানুষজন।
শিলিগুড়ি পৌর নিগমের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের খেলাঘর মোড় এলাকায় আজ সকালে জনা পাঁচেক যুবক, চারজন মহিলা এবং বেশ কয়েকজন স্কুল ছাত্র ছাত্রী একটি কফিনের পাশে ঘোরাঘুরি করছিলেন।
বিষয়টি দেখে এলাকার লোকজন বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন। অনেকে চমকে যান, এলাকায় কফিন কেন?
স্থানীয় বাসিন্দারা ফোন করেন স্থানীয় কাউন্সিলর এবং ওয়ার্ড কমিটির সদস্যদের। সকলেই বলেন তাদের কোন কিছুই জানা নেই। এরপর স্থানীয় বাসিন্দারা ফোন করেন শিলিগুড়ি থানার পুলিশকে। খবর পাওয়া মাত্রই শিলিগুড়ি থানার দুটি পুলিশ ভ্যানে পুলিশ ফোর্স এসে পৌঁছায় ঘটনাস্থলে।

পুলিশ এসে ওই যুবকদের এবং মহিলাদের সাথে কথা বলে জানতে পারেন, একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন পরিবেশ দিবস নিয়ে একটি ডকুমেন্টারি বানাচ্ছে তার শুটিং চলছে।।
ওই কফিনটিকে একটি মৃত গাছের সাথে তুলনা দিয়ে শুটিং চলছিল। একের পর এক গাছ কাটা এবং হাইওয়ের জন্য প্রচুর গাছ কাটা যাওয়ায় বর্তমানে গ্লোবাল ওয়ার্মিং বাড়ছে। ওই কফিন টিকে একটি মৃত গাছের সাথে তুলনা দিয়ে স্কুল ছাত্র ও ছাত্রীদেরকে দিয়ে অক্সিজেনের অভাব বোঝানো এবং আগামী প্রজন্মের অক্সিজেন নিয়ে ঘুরতে হবে এমন বার্তা দেওয়ার জন্যই ওই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন একটি ডকুমেন্টারি তৈরির উদ্যোগ নেয়।
কিন্তু কিছুদিন আগেই ব্লগার জ্যোতি গ্রেফতারের পর থেকে সতর্ক পুলিশ প্রশাসন।
কোন ফটোগ্রাফি করার ক্ষেত্রে নিতে হবে পুলিশ প্রশাসনের অনুমতি, এমনটাই জানিয়েছে রাজ্য সরকার।
কিন্তু এক্ষেত্রে ওই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কিছুই নেয়নি বলেই অভিযোগ। অপরদিকে সাতসকালে বাড়ির সামনে রাস্তার উপরে কফিন দেখে ভয় পেয়ে যাওয়া লোকজনের বক্তব্য স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উচিত ছিল পুলিশ প্রশাসনের এবং কর্পোরেশনের অনুমতি নিয়ে শুটিং করতে আসা।
শিলিগুড়ি থানার পুলিশ কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে সাফ জানিয়ে দেয়,
পুলিশ প্রশাসন এবং শিলিগুড়ি পৌরনিগমের অনুমতি ছাড়া শুটিং করা যাবে না। এরপর ঐ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্য সদস্যরা প্যাকাপ করেন। তাদের বক্তব্য , তাদের জানা ছিল না শহরে শুটিং করতে গেলে পুলিশ এবং পৌরনিগমের অনুমতি প্রয়োজন।। এই কর্মকাণ্ডের জন্য তারা ক্ষমাপ্রার্থী বলেও জানান।
এই ঘটনা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় শিলিগুড়ির ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের খেলাঘর মোড় এলাকায়।