রাতের অন্ধকারে এক স্কুল শিক্ষককে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা। উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন তিনি। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হলদিবাড়ি ব্লকের দক্ষিণ বড় হলদিবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের বালাডাঙ্গা শিমুলতলী এলাকায়। ওই শিক্ষকের পরিবারের দাবি, প্রাণনাশের উদ্দেশ্যে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে তার উপর হামলা চালানো হয়। হামলার পাশাপাশি তার সঙ্গে থাকা জমি কেনার আট লাখ টাকা ছিনতাই করে দুষ্কৃতীরা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আহত শিক্ষকের নাম মইনুল হক। তার বাড়ি হলদিবাড়ি পুরসভা সাত নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত মাটিয়াটারী এলাকায়। বালাডাঙ্গা শিমুলতলী ঈদগাহ ময়দান সংলগ্ন এলাকায় বাসিন্দা মহম্মদ ইমরানের দাবি,এদিন রাতে মইনুল জমির টাকা নিয়ে তার বাড়িতে যান। একসময় দুজনে টাকা নিয়ে বাড়ি থেকে রওনা দেন। তিনি রাস্তায় উঠতেই আগের থেকে সেখানে উপস্থিত থাকা দুষ্কৃতীরা তার উপরে আক্রমণ চালায়। তার সঙ্গে থাকা এক লক্ষ কুড়ি হাজার টাকা ও তার মোবাইল ছিনতাই করে নেওয়া হয়।

তার বাইক ভাঙচুর করা হয়।এরপর মইনুল বাড়ি থেকে বেরিয়ে এলে তাকে ছেড়ে দিয়ে মইনুলের উপর আক্রমণ চালায়। সংলগ্ন পাট খেতে ফেলে ধারালো অস্ত্র, বাঁশ দিয়ে তাকে আঘাত করা হয়। তার মুখসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে গভীর ক্ষত হয়।তার সঙ্গে থাকা টাকা ছিনতাই করে নেওয়া হয়। এরপর মইনুল এর দাদার বাড়িতে অগ্নি সংযোগ করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে যায় হলদিবাড়ি দমকলের একটি ইঞ্জিন সহ হলদিবাড়ি থানার পুলিশ। দমকল কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।পুলিশ গুরুতর আহত অবস্থায় মইনুলকে উদ্ধার করে হলদিবাড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে পাঠায়। বাইক দুটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। শিক্ষক মইনুলের দাদা সলেমান আলীর অভিযোগ,বেশ কিছুদিন ধরে বালাডাঙ্গা এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিবাদ চলছে। বর্তমানে তা আদালতে বিচারাধীন অবস্থায় রয়েছে।তার জেরেই কয়েকজন প্রাণনাশের হামলা চালায় বলে অভিযোগ .তাদের বিরুদ্ধে শুক্রবার হলদিবাড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তে পুলিশ।