রাতের খাবার খেয়ে ঘুমাতে গিয়েছিল একাদশ শ্রেণীর পড়ুয়া প্রতীক।সকাল হয়ে গেলেও ঘুম থেকে উঠেনি ছেলে।ঘরে ঢুকে ছেলেকে ডাকতে গেলে চমকে যায় বাবা।তিনি দেখেন ছেলে নিস্তেজ হয়ে পড়ে রয়েছে বিছানাতে। ডাকাডাকি করলেও কোনো সাড়া শব্দ নেই।বাড়ির ছেলের এমন পরিস্থিতি দেখে চিৎকার জুড়ে দেয় পরিবারের সদস্যরা।চিৎকার চেঁচামেচিতে ছুটে আসে পাড়া প্রতিবেশীরা।তড়িঘড়ি উদ্ধার করে ধূপগুড়ি মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রতীক রায়কে মৃত বলে ঘোষনা করে।ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে আসে সাঁকোয়াঝোড়া দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের পূর্ব মল্লিকপাড়া এলাকায়।পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে অন্যান্য দিনের মতো সোমবার রাতে খাবার খেয়ে ঘুমাতে যায় প্রতীক।

এদিন সকাল হয়ে গেলেও প্রতীক ঘুম থেকে উঠেনি।ছেলে বেলা হয়ে গেলেও ঘুম থেকে উঠেনি দেখে তাকে ঘরে ডাকতে যায় তার বাবা।কিন্ত ঘরে ডুকে ছেলের শরীর ধরে ডাকতে গেলে তিনি দেখেন শরীর নিস্তেজ হয়ে রয়েছে।কোনো সাড়া শব্দ নেই প্রতীকের।এরপর তিনি প্রতীকের মাকে ডেকে বিষয়টি জানালে ছুটে আসে মা।তিনিও দেখেন ছেলের সাড়া নেই।এরপরই কান্নায় ভেঙে পড়ে পরিবারের সদস্যরা।আশেপাশের প্রতিবেশীরা ছুটে আসে।বিছানা থেকে উদ্ধার করে মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসে প্রতিবেশীরা।চিকিৎসক প্রতীককে দেখে মৃত বলে ঘোষনা করে।ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে আসে পুলিশ।দেহ ময়নাতদন্তের জন্য জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হবে বলে জানা যায় পুলিশ সূত্রে।কিন্ত কিভাবে প্রতীকের আচমকাই মৃত্যু হল তা ভেবে পাচ্ছে না পরিবারের সদস্যরা।গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।জানা যায় প্রতীক রায় পূর্ব মল্লিকপাড়া বিদ্যালয়ের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র।হাসপাতাল এবং পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।