একই পরিবারের ৪জনের খুনের ঘটনায় ছোট ছেলেকে ফাঁসির সাজা দিলো মালদহ আদালত।
নজিরবিহীন খুনের ঘটনার রায় দিলো মালদহ জেলা আদালত।২০২১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি কালিয়াচক থানার ১৬ মাইলে একই পরিবারের চার জন খুন হয়।খুন করে পরিবারের ছোটো ছেলে মহঃ আশিফ।খুনের ১১০ দিন পর আশিফের দাদা মহঃ আরিফের অভিযোগের ভিত্তিতে কালিয়াচক থানার পুলিশ মহঃ আশিফকে বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে।তাঁকে জিঞ্জাসাবাদ করে বাড়ির ভিতরে একটি গোডাউনের মেঝে খুঁড়ে চার জনের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে আশিফের কাছ থেকে প্রচুর পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করে।
পুলিশি তদন্তে বেড়িয়ে আসে হাড় হিম করা তথ্য। ঠান্ডা পানীয়র সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে বাবা জাওয়াজ আলি,মা ইরা বিবি,বোন রিমা খাতুন,ঠাকুমা আলেকনুর বেওয়া এবং দাদা মহঃ আরিফকে ঠান্ডা পানীয় দিলে সকলেই সেই ঠান্ডা পানীয় পান করে অচৈতন্য হয়ে পড়ে। ইতিমধ্যে দাদা আরিফের ঞ্জান ফিরে আসলে আশিফের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় কোনো মতে মহঃ আরিফ বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।এর পরে শ্বাসরোধ করে বাবা মা বোন ঠাকুমাকে খুন করে মেঝের মধ্যে একটি রিজার্ভারের মধ্যে ফেলে দিয়ে মাটি চাপা দিয়ে দেয়।এমন কি মেঝেটি সিমেন্ট বালি দিয়ে বন্ধ করে দেয়। দাদা আরিফের অভিযোগের ভিত্তিতে কালিয়াচক থানার পুলিশ মেঝে খুঁড়ে চার জনের পচা গলা মৃত দেহ উদ্ধার করে। এর পরে মহঃ আসিফ জেল হেফাজতেই ছিল।শনিবার মালদহ জেলা আদালতের জেলা মুখ্য দায়রা বিচরক শুভায়ু ব্যানার্জী অভিযুক্ত মহঃ আসিফকে ফাঁসির সাজা শোনালেন।
আসিফের আত্মীয় মরতুজ আলী বলেন,এই রায়ে আমরা খুশি। আমরা কোন উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হব না।
সরকারি আইনজীবী দিবস চট্টোপাধ্যায় বলেন,ঘটনাটি বিরলতম ঘটনা।এই ধরনের ঘটনায় আগে দোষীসাবস্ত হয়েছিল।এদিন ২০১, ৩০২, ৩০৭, ধারায় দোষীসাবস্ত করা হয়।আমরা আবেদন করেছিলাম এই ধরনের ঘটনায় যাবজ্জীবন হলে পরবর্তী সময়ে সমাজে প্রভাব পরতে পারে। সেই কারনে কিল ডেথের রায় দিয়ে আদালত।
যদিও জেলা আইনি সহায়তার আইনজীবি নাসের আলি বলেন,আমরা এরপর ৩০দিনের মধ্যে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হবো।
