সনাতন মিত্র,কোচবিহার:আবাস যোজনার উপভোক্তার কাছ থেকে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ উঠলো তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে, কাঠমানির জেরে বন্ধ আবাসের কাজ।, তুফানগঞ্জ-২ ব্লকের শালবাড়ি ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বজ্রাপুরের বাসিন্দা গোবিন্দ বর্মন নামের এক আবাস উপভক্তার কাজ থেকে ৩০ হাজার টাকা কাঠ মানি নেওয়ার অভিযোগ স্থানীয় তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি মিলন বর্মনের বিরুদ্ধে।

সম্প্রতি আবাস নিয়ে কেন্দ্রের বঞ্চনার পর রাজ্য সরকারের একক প্রচেষ্টায় রাজ্যের ১২ লক্ষ উপভক্তা কে প্রথম কিস্তির টাকা দিয়েছে রাজ্যে। সেই তালিকায় নাম রয়েছে তুফানগঞ্জ-২ ব্লকের শালবাড়ী-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বজ্রাপুর এলাকার বাসিন্দা গোবিন্দ বর্মনের। অভিযোগ,প্রথম কিস্তির টাকা পেতেই তাঁর বাড়িতে গিয়ে স্থানীয় তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি মিলন বর্মন উপভোক্তা কে বলে ৩০ হাজার টাকা দিতে। যদি টাকা না দেয় তাহলে দ্বিতীয় কিস্তির ৬০ হাজার টাকা ঢুকবে না একাউন্টে। উপভোক্তা সেই মতো তাকে ৩০ হাজার টাকা দেন। উপভোক্তার দাবি বর্তমানে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা না ঢোকায় ঘরের কাজ শুরু করতে পারছেন না গোবিন্দ বর্মন বহুবার অঞ্চল সভাপতি বাড়িতে গিয়ে টাকার কথা বললে তিনি বিভিন্ন বাহানা দিতে থাকেন বলে অভিযোগ।

তাই বৃহস্পতিবার বাধ্য হয়ে গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধাএনকে লিখিত অভিযোগ জানান গোবিন্দ বর্মন। যদিও অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ। বিজেপি চক্রান্ত করে তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। তিনি চ্যালেঞ্জ করে বলে এটা যে মিথ্যে তা আমি প্রমাণ করে দেখাবো। যদিও এ বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করতে ছাড়িনি গেরুয়া শিবির। এ বিষয়ে কোচবিহার জেলা বিজেপি যুব মোর্চার কার্যকরী কমিটির সদস্য ধিরাজ বর্মন বলেন তৃণমূল যদি কাটমানি না নেয় তাহলে তাদের দল চলবে কিভাবে আর নেতাদের সংসার চলবে কিভাবে? এটা পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে চরম বাস্তব এটা আবার প্রমাণিত হলো। এ বিষয়ে গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান মনোরঞ্জন বারিয়া বলেন অভিযোগ জমা পড়েছে বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।