যে নিম্নচাপ তৈরি হয়েছিল বর্তমানে এটা উত্তর ঝাড়খন্ড সংলগ্ন দক্ষিণ বিহারের কাছাকাছি অবস্থান করছে একটা সুস্পষ্ট নিম্নচাপ হিসেবে। আগামী ২৪ ঘন্টায় আরও পশ্চিম উত্তর-পশ্চিম দিকে ক্রমশ সরে যাবে। ঝাড়খন্ড দক্ষিণ বিহার হয়ে পূর্ব উত্তরপ্রদেশের দিকে ক্রমশ অগ্রসর হবে। এর ফলে দক্ষিণবঙ্গে পশ্চিমের কয়েকটি জেলায় বিশেষ করে পুরুলিয়া বাঁকুড়া, পূর্ব পশ্চিম বর্ধমান বীরভূম মুর্শিদাবাদ ও নদীয়া এই জেলা গুলিতে আজ কয়েকটি জায়গায় ভারী বৃষ্টি সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যান্য জেলায় আজ হালকা ও মাঝারি বৃষ্টি সম্ভাবনার থাকছে।

আগামীকাল বুধবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে না। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি সম্ভাবনা থাকছে দক্ষিণবঙ্গের জেলায়। জানালেন আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের অধিকর্তা সৌরিশ বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার থেকে বৃষ্টি কমার সম্ভাবনা। বৃহস্পতিবার থেকে পরবর্তী পাঁচ দিন ২১ তারিখ সোমবার পর্যন্ত প্রধানত হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের জেলায়।
কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের জন্য আজ ও কাল মেঘলা আকাশ দু এক পশলা হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি সম্ভাবনা।
উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে উত্তরের জেলাগুলি দার্জিলিং কালিম্পং জলপাইগুড়ি আলিপুরদুয়ার উওর দিনাজপুর এই জেলাগুলি ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা।
উত্তরবঙ্গের অন্যান্য জেলাগুলিতে আজ মালদা দক্ষিণ দিনাজপুর কোচবিহার এই জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা ২/১ জায়গায়
আগামীকাল ১৬ তারিখ দার্জিলিং কালিম্পং জলপাইগুড়ি আলিপুরদুয়ার উত্তর দিনাজপুর এই জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।।
বৃহস্পতি ও শুক্রবার কিছুটা কমবে বৃষ্টি উত্তরবঙ্গের। উত্তরে জেলাগুলিতে শনিবার থেকে বৃষ্টি বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে । শনিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত উত্তরে জেলাগুলিতে আবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে।
শহর কলকাতায় প্রধানত হালকা বৃষ্টি সম্ভাবনা থাকছে।
আগের বছরের তুলনায় এখনো পর্যন্ত ১ লা জুন থেকে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ প্রায় ৩৪ শতাংশ স্বাভাবিকের থেকে বেশি হয়েছে অন্যান্য বছরে তুলনায় দক্ষিণবঙ্গের ক্ষেত্রে। কলকাতায় স্বাভাবিকের কাছাকাছি রয়েছে -৪ শতাংশ।
উত্তরবঙ্গে স্বাভাবিকের থেকে অনেকটাই বৃষ্টি কম হয়েছে। প্রায় ৪০ শতাংশের কাছাকাছি।