এবছর চা বাগিচা শ্রমিকদের কুড়ি শতাংশ বোনাস দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এবং এই বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকার কর্তৃক নোটিফিকেশনে জারি করা হয়েছে, ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ডুয়ার্স ,দার্জিলিং , জলপাইগুড়ি ও উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির যে চা বাগিচা শ্রমিকেরা রয়েছে তাদের বোনাস মিটিয়ে দিতে হবে। আজ ইসলামপুর বিবেকানন্দ সভাগৃহে একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়। উক্ত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন উত্তর দিনাজপুর এলাকার বিভিন্ন চা বাগিচা শ্রমিক সংগঠন ও বটলিফ ফ্যাক্টরির মালিকপক্ষ। কুড়ি শতাংশ বোনাসের দাবিতে গত 16ই সেপ্টেম্বর জলপাইগুড়ি এবং দার্জিলিং জেলাতেও মিটিং হয় সেখানেও এখনো পর্যন্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যায়নি। ইসলামপুরের আজকের এই দ্বীপাক্ষিক বৈঠকের উপরেই আশাবাদী ছিল শ্রমিকপক্ষ। তবে পুজোর আগে বোনাস মিলবে কিনা সেই আশাতেই এখনও দিন গুনছে শ্রমিকপক্ষ।

মালিকপক্ষ এবং শ্রমিক ইউনিয়ন এর বৈঠকের পরেও এখনো পর্যন্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারল না কেউই। রাজ্য সরকারের করা নোটিফিকেশন অনুযায়ী কুড়ি শতাংশ বোনাসের দাবিতে অনড় থাকলো শ্রমিকপক্ষ। তবে এখনো পর্যন্ত আজকের এই বৈঠকে মালিকপক্ষের বক্তব্য তারা কুড়ি শতাংশ বোনাস কোনভাবেই দিতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন। তবে আজকের এই মিটিং শেষ হওয়ার পরে সংবাদ মাধ্যমকে এড়িয়ে যান শ্রমিক নেতা কালু সিং সহ, বেশ কিছু মালিকপক্ষ। তৃণমূল চা বাগিচা শ্রমিক সংগঠনের পক্ষ থেকে দীপক রায় সংবাদমাধ্যমকে বক্তব্য দিলেও তার বক্তব্যে অনিশ্চয়তা রয়েছে। শ্রমিকদের মধ্যে একজন শ্রমিক সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মালিকপক্ষ ও তার পাশাপাশি শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের ওপরেও প্রশ্ন তোলেন এবং ক্ষোভ উগরে দেন। তিনি বলেন নেতারা তাদের সাথে কোনো প্রকার আলোচনা ছাড়াই ১৭.২৫ শতাংশ বোনাসের কথা যোর পূর্বক শ্রমিকদের নিতে বলেছেন বলে অভিযোগ।একমাত্র সিআইটিইউ অনুমোদিত ওয়েস্ট দিনাজপুর চা বাগিচা শ্রমিক ইউনিয়ন কুড়ি শতাংশ বোনাসের দাবিতে অনড় থাকেন এবং মিটিং এর সিদ্ধান্তে কোন প্রকার স্বাক্ষরে তারা রাজি হননি। তারা বলেন যেখানে রাজ্য সরকার ২০ শতাংশ বোনাসের বিষয়ে স্বীকৃতি দিয়েছেন , সেখানে তারা মালিকপক্ষের কাছে ২০ শতাংশের আবেদনেই অনড় আছেন ও থাকবেন। তবে কুড়ি শতাংশ বোনাসের দাবিতে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হলেও বোনাস নিয়ে আজও জট কাটলো না।