আসামের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মা পক্ষান্তরে বাঙালি খেদাও শুরু করেছেন যা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যাবে না। এনআরসির নোটিশ পাওয়া তুফানগঞ্জ ২নং ব্লকের শালবাড়ি ১নং গ্রাম পঞ্চায়েতের বাঁশরাজা গ্রামের বাসিন্দা মমিনা বিবির সাথে দেখা করে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের কোচবিহার জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক।
এবার আসাম সরকারের এনআরসির নোটিশ পেয়েছেন তুফানগঞ্জ ২নং ব্লকের শালবাড়ি ১নং গ্রাম পঞ্চায়েতের বাঁশরাজা গ্রামের বাসিন্দা মমিনা বিবি। ফরেনার্স ট্রাইবুনাল-৯ ধুবড়ি, আসাম থেকে এই এনআরসির নোটিশ পাঠানো হয়েছে তাকে। এরপর থেকে আতঙ্কে রয়েছেন তিনি সহ তার পরিবার। এই খবর পাওয়া মাত্রই দিন দলীয় নেতা কর্মীদের সাথে নিয়ে তার বাড়িতে ছুটে যান তৃণমূল কংগ্রেসের কোচবিহার জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক। সব সময় তার পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি।

এদিন অভিজিৎ দে ভৌমিক বলেন, বাইরের রাজ্যগুলিতে বেছে বেছে সংখ্যালঘু পরিযায়ী শ্রমিকদের ওপর অত্যাচার বেশি হচ্ছে। দিল্লি, হরিয়ানা,গুজরাট, উত্তর প্রদেশ বিভিন্ন রাজ্যে। কোচবিহারকে আসাম রাজ্যকে দিয়ে টার্গেট করা হচ্ছে। যার দায়িত্ব নিয়েছেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। কিন্তু এতে কোন লাভ হবে না। কেউ আর আসামের নোটিশ পেয়ে যাবেন না। সাড়াও দেবেন না। বাংলার বিষয় বাংলা দেখবে।
তিনি বলেন, কোচবিহার জেলায় গত লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল বিজেপির অনুকূলে যায়নি। বিজেপি জানে আগামীতে এ জেলায় তাদের কি রেজাল্ট হবে। তাই এ রাজ্যের নেতাদের বাদ দিয়ে হেমন্ত বিশ্বশর্মাকে দায়িত্ব দিয়েছে কেন্দ্রের বিজেপি।
অভিজিৎ দে ভৌমিক বলেন, একটা সময় আসাম রাজ্যের ফাস্ট ল্যাঙ্গুয়েজ ছিল বাংলা। আবারও আসামে ১৯৬১সালের পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে চাইছেন হেমন্ত বিশ্বশর্মা। যেটা বিচ্ছিন্ন ভাবে হয়েছিল, সেটা এবার যদি রাষ্ট্রীয় ভাবে সরকার ইনসিস্ট করে, তা অত্যন্ত লজ্জাজনক। হিমন্ত বিশ্বশর্মা পক্ষান্তরে বাঙালি খেদাও শুরু করেছেন। এটা মেনে নেওয়া যাবে না।