দুর্গোৎসবের আগে আলিপুরদুয়ার শহরবাসীদের স্বাস্থ্যকর খাবার তুলে দিতে বিভিন্ন দোকানে অভিযান ক্রেতা সুরক্ষা ও স্বাস্থ্য দপ্তরের।
মঙ্গলবার দুপুরে আচমকাই শহরের বিভিন্ন খাবারের দোকানে ঢুকে পড়লেন একদল মানুষ। দোকানে কি খাওয়ানো হচ্ছে ? কিভাবে তৈরি হচ্ছে ? কি দিয়ে তৈরি হচ্ছে ? এমনকি কিভাবে পরিবেশন হচ্ছে ? এই ধরনের প্রশ্ন শুরু করেন দলের লোকেরা। এই সব দেখে দোকানদার থেকে শুরুকরে হতবাক ক্রেতারাও। খানিকক্ষণের মধ্যে দোকানের আমার আছে কোন আছে সমস্ত জায়গা দেখে ফেললেন তারা। কে এনারা ? কিছুক্ষণের মধ্যে সব পরিষ্কার হয়ে গেলো।

এনারা হচ্ছেন প্রশাসনিক অধিকারী। জানা গেছে হাতে গোনা আর কয়েক দিন বাকি। এরপরেই শুরু হবে উৎসবের মেলা। প্রথমে বিশ্বকর্মা পূজা তারপরেই শুরু হবে বাঙালির শ্রেষ্ঠ পুজো দুর্গোৎসব। বছরের অন্যান্য সময় কাজের সূত্রে হোক বা অন্য কারন। বাড়ি ছেড়ে দূর দূরান্তে থাকলেও, বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবের সময় আলিপুরদুয়ার জেলা শহর যেন এক মিলন মেলায় পরিণত হয়। উৎসবের ওই কদিন প্রায় বেশিরভাগ মানুষই বাড়ির বাইরে বিভিন্ন মিষ্টির দোকান, বিভিন্ন হোটেল বা রাস্তার ধারে থাকা বিভিন্ন খাবারের দোকান থেকে খাবার খেয়ে থাকেন। ফলে খাবারের গুণতগতমান কম হলেও অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল থাকে। সেই কারণে উৎসব চলাকালীন শহরবাসীদের সুস্বাস্থ্যের কথা ভেবে বিভিন্ন খাবারের গুণগত মান যাচাই করতে অভিযানে নামলেন আলিপুরদুয়ার জেলার বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকরা। জানা গেছে এদিন ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তর, খাদ্য দপ্তর এবং স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকরা যৌথভাবে আলিপুরদুয়ার শহরের বিভিন্ন খাবারের দোকানে হানা দেন। দোকানে থাকা খবরের খুঁটি নাটি খতিয়ে দেখেন। যে সমস্ত দোকানে ন্যূনতম ত্রুটি উদ্ধার হয়, তাদের কড়া বার্তা দেন। যেমন, পরিষ্কার জায়গায় খাওয়া তৈরি করতে হবে। খাবারের কোন ধরনের রং মেশানো চলবে না। যে কোন খাবার খবরের কাগজে পরিবেশন করা যাবে না। এমনকি নিজেদের তৈরি প্যাকেটে থাকা খাবারের মধ্যে প্রস্তুতির তারিখ এবং সংস্থার নাম ও ফোন নাম্বার উল্লেখ রাখা থাকার কথা তাদের সতর্ক করা হয়। কোনো হোটেল বা খাবারের দোকানে খাবার পরিবেশন করার সময় হাতে গ্লাভস ও মাথায় ক্যাপ পরে পরিবেশন করা বাধ্যতামূলক বলে দোকানদারদের নির্দেশ দেওয়া হয়। কোন দোকানদার প্রশাসনিক এই সমস্ত নির্দেশ উল্লঙ্ঘন করলে তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারও দেন অভিযানে থাকা আধিকারিকরা। জানা গেছে দুদিন ব্যাপী এই অভিযান চলবে আলিপুরদুয়ার শহরের বিভিন্ন হোটেল, মিষ্টির দোকান ও স্ট্রিট ফুডের দোকানগুলিতে। অভিযানে থাকা আধিকারিকরা শহর বাসীদের আশ্বস্ত করে জানান। পুজো চলাকালীন বিভিন্ন খাবারের দোকানে প্রচুর ভিড় হয়। সেই সময় বেশিরভাগ দোকানদারি সরকারি নিয়ম শৃঙ্খলা লংঘন করে ব্যবসা চালান। সেই কারণে যেন কোনো মানুষ অসুস্থ হয়ে না পড়েন এবং কোনো দুর্যোগ দেখা না দেয় প্রশাসন সেই বিষয়ে কড়া নজরদারি চালাবে।