আদিবাসী ও রাজবংশী সম্প্রদায়ের জমি আত্মসাৎ এবং বিক্রি করার অভিযোগ জমা ময়নাগুড়ি থানায় ৩ ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
আদিবাসী ও রাজবংশী সম্প্রদায়ের মানুষের জমি আত্মসাৎ করছে তিন ব্যক্তি, তারই অভিযোগ জমা ময়নাগুড়ি থানায়। এই জমি প্রতারণার অভিযোগে বিগত কিছুদিন আগেও চুরাভান্ডার এলাকার হুসলুডাঙ্গা মোরে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় জমির মালিক ও পরিবার।
ময়নাগুড়ি ব্লকের সাপটিবাড়ি এক নং গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার জমির মালিক প্রফুল্য সিং কজুর জানান ৭০ দশকে তৎকালীন সরকারের আমলে আমাদের বাড়িও চাষা আবাদ করার জন্য এই জমি প্রদান করে, পরবর্তীতে আমার পিতা মৃত তারক সিং কজুর কোন এক মহান ব্যক্তির সাহায্যে ওই জমিতে চা বাগান তৈরি করেন, বংশপরম্পরায় অমরা সেই চা বাগানে কাজ করেই সংসার প্রতিপালন করে আসছি।

কিন্তু বিগত তিন বছর পূর্বে শিবশংকর দত্ত তার ক্ষমতার ও তার বাহুবলে সফিয়ার রহমান ও ইউসুফ আলী নামে দুই ব্যক্তিকে ভোগ করার জন্য আমাদের জমিটি দেয়। পরবর্তীতে শিব শঙ্কর দত্তের নির্দেশমতো ওই দুই ব্যক্তি লোক বলে কৌশলগত ভাবে ও প্রতারণার সঙ্গে আমাদের জমিসহ চা বাগানের অধিপত্য থেকে বঞ্চিত করে আমাদের তাড়িয়ে দেয়। এরপর শিব শংকর দত্ত ও সুফিয়ার রহমান এবং ইউসুফ আলী তিনজন মিলে অবৈধভাবে জমি সহ বাগান বহিরাগতদের কাছে বিক্রি করে প্রতারণা পূর্বক বিপুল অর্থ আত্মসাৎ করে, বলে জানান জমির মালিক প্রফুল্ল সিং হুজুর। তিনি আরো জানান শিব শঙ্কর দত্ত তার ক্ষমতার প্রয়োগ করে আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। এরই সুবিচার পেতে আজ ময়নাগুড়ি থানায় শিব শংকর দত্ত ও তার সঙ্গে যুক্ত দুই ব্যক্তির নামে ময়নাগুড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।
অন্যদিকে ময়নাগুড়ি দুই নং তৃণমূলের ব্লক সভাপতি শিব শংকর দত্ত বলেন এগুলো একটি চক্রান্ত। আমাকে চক্রান্ত করে ফাসানো হচ্ছে বলে তিনি জানান। তিনি মোবাইলে আরো বলেন এখানে শুধু বিরোধী দলের নেতারাই নয় কিছু দুষ্কৃতীদেরও এর সঙ্গে যোগ আছে , তারাই আমার নামে এ ধরনের বিভ্রান্তিমূলক কথা রটাচ্ছে। সেই সঙ্গে যে জমির বিষয় নিয়ে আমার নামে কুৎসা রটাচ্ছে সেই জমি আমি কোনদিন দেখিনি এবং আমার পা পড়েনি। কি কারনে এই ধরনের ঘটনা ঘটছে তা আমি বলতে পারছি না।
অন্যদিকে বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলার সাধারণ সম্পাদক চঞ্চল সরকার আমাদের জানান, জমি নিয়ে সমস্যা এগুলো তৃণমূল দলের মধ্যে আছে, আমরা এসব নিয়ে কারো সম্বন্ধে কিছু বলা বা চক্রান্ত করা বিজেপি দলের কাজ নয়। এগুলো বলতে হয় তাই বিজেপির নাম করে বলেছে তাতে আমাদের কিছু এসে যায় না।। অভিযোগ জমা পরার পর ঘটনার তদন্তে ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ।