আজকের দিনটা ছিল স্মৃতিমাখা, অশ্রুভেজা। সুরের জাদুকর, কণ্ঠশিল্পী জুবিন গার্গের অকাল প্রয়াণে দেশবাসীর মতোই আস্থা ফাউন্ডেশনের সদস্যরাও শোকস্তব্ধ। প্রিয় শিল্পীকে শ্রদ্ধা জানাতে কোচবিহারে আস্থা ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে আয়োজন করা হয় এক বিশেষ কর্মসূচির।
অনুষ্ঠানের শুরুতে জুবিন দার ছবিতে ফুল, ধূপকাঠি ও মোমবাতি নিবেদন করা হয়। নীরবতা নেমে আসে চারপাশে। উপস্থিত সকলে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করেন—যেন সেই মুহূর্তে সবাই কেবল সুরের সাধককে স্মরণ করছিলেন।

শ্রদ্ধার এই কর্মসূচি শুধু আচারেই সীমাবদ্ধ থাকেনি। জুবিন দার স্মৃতির উদ্দেশ্যে বিশেষভাবে সক্ষম মানুষ ও ছোট ছোট শিশুদের হাতে নতুন বস্ত্র তুলে দেওয়া হয়। অতিথিদের হাতে তুলে দেওয়া হয় ভগবত গীতা—একটি বার্তা ছড়িয়ে দিতে যে জীবন যেমন ক্ষণস্থায়ী, তেমনি সঙ্গীত ও মূল্যবোধ চিরন্তন।
সবচেয়ে আবেগঘন মুহূর্ত আসে যখন সকলের হাতে একটি করে সবুজ চারা তুলে দেওয়া হয়। কারণ, জুবিন দা গাছকে ভীষণ ভালোবাসতেন। তাঁর সেই ভালোবাসাকে বাঁচিয়ে রাখতেই প্রকৃতির প্রতীক হিসেবে বৃক্ষরোপণের বার্তা পৌঁছে দেয় আস্থা ফাউন্ডেশন।
এই আবেগঘন মুহূর্তে উপস্থিত ছিলেন কোচবিহারের কণ্ঠশিল্পী কুমার ভাইয়া, অমিত দাস ও মরমিতা মিত্র। তাঁরা সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। বিশেষ করে কুমার ভাইয়া যখন জুবিন দার গান গেয়ে শোনালেন, তখন অনুষ্ঠানস্থলে আবেগ উথলে ওঠে। মনে হচ্ছিল—জুবিন দা আজও আমাদের মাঝেই আছেন, তাঁর সুরেই বেঁচে আছেন।
আস্থা ফাউন্ডেশনের এই উদ্যোগ যেন কেবল শ্রদ্ধা নিবেদন নয়, বরং জুবিন গার্গের স্বপ্ন, তাঁর সঙ্গীতপ্রেম ও মানবিকতার বার্তা আগামী প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়ার এক অনন্য প্রচেষ্টা। আমরা এর পক্ষ থেকেও সঙ্গীত শিল্পী জুবিন দা কে জানাই অস্রু শিক্ত নয়নে শ্রদ্ধাঞ্জলি।।