তৃণমুল কংগ্রেস দলটা কংগ্রেস সিপিএম বিজেপি ভেঙে হয়েছে।তাই মন একদিকে আর ক্ষমতা একদিকে।তাদেরই ভূমিকা এগুলো।সাবটাই কাজ করেছে তাছাড়া আর কি।মালদহে বিস্ফোরক মন্তব্য মানিকচক বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র।
উল্লেখ্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মালদহের প্রত্যেকটি বিধানসভা কেন্দ্রতে ফল অত্যন্ত খারাপ বলে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। সাবিত্রী মিত্র বলেন,ভোট আসলে আমরা ভোটের কাজ করি। এটা যাতে ১২ মাস করা হয়।ভোটের দুদিন আগেও ভোটার লিস্টে লোকের নাম তোলার ক্ষমতা আছে। ইলেকশন কমিশনের কাছে থেকে অনুমতি আছে। সেটা আমাদের করতে হবে। আমরা অনেকগুলো বুথে হেরেছি। কেন আমরা সেই বুঝে হারলাম আমরা এটার এনালাইসিস করিনা। সেই ব্যাপারগুলিতেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন। ভালোই বলেছেন খারাপ কিছু বলেননি। মালদায় দুটো লোকসভা কেন্দ্রে খারাপ ভোট হয়েছে। খুবই খারাপ হয়েছে।আমরা সবাই ভোট করেছি। মালদাতে আমরা ভোট করেছি সবাই করেছি। সেই ভোটটা করতে গিয়ে আমরা সেখানে হেরেছি। দক্ষিণ মালদা কেন্দ্রে যে ভোট সেটা বরকতদার যে পরিবারের লোকজন তার মধ্যে ডালবাবু এবার সেখানে দাড়ানি বলে ইশা খান চৌধুরী ভাবল উচকা লাস্ট চিড়াগ আই হে তো উস্ক ভোট জেনে হোগা। এইরকম একটা আওয়াজ তুলে দেওয়া হল। এখানে আওয়াজের ভিত্তিতে ভোট হয়। ২০১৬ সালে বলল ডালুবাবু ভারত বর্ষ স্বাধীন হওয়ার পর প্রথম মুসলিম প্রার্থী দিলাম জিতে গেল। এখানে আওয়াজে ভোট হয়। দক্ষিণ মালদাতে কিছু করতে পারেনি আমরা। কিন্তু উত্তর মালদাটা করা যেত। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যেটা বলেছে মালদা কে নিয়ে আলাদা ভাবে বসতে হবে। পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে সবথেকে বেশি আমাদের রেজাল্ট খারাপ। আমার বিধানসভা তেও ভরাডুবি হয়েছে। আমি নিজে স্বীকার করছি। এটা আমার ব্যর্থতা। এটা ছাড়া আমার বলার কিছু নাই। ২০১১ সালে আমি জিতলাম আর পরে ২০১৬ সালে আমি হারলাম। এত উন্নয়ন করেছে তারপরেও। আর কি বলবো। অঞ্চল ব্লক নেতৃত্ব যদি কাজ করতে তাহলে হারতো না। যদি করত তাহলে হরতো না। আমাদের তৃণমূলটা কংগ্রেস ভেঙে হয়েছে। সিপিএম বিজেপি ভেঙে হয়েছে। মন একদিকে আর ক্ষমতা একদিকে। তাদেরই ভূমিকা এগুলো। সাবোটাইজ করেছে তাছাড়া আর কি।
