DIGITAL BANGLA NEWS

আপনার এলাকার খবর

অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে ১৩ দিন ধরে ছেলের মৃতদেহ সংরক্ষন

ছেলের মৃতদেহ ফ্রিজে ১৩ দিন ধরে আগলে পরিবার।ময়নাতদন্তের রিপোর্টে সন্তুুষ্ট নয় পরিবার।ছেলের মৃত্যুর প্রকৃত কারন নিয়ে এবার ন্যায় বিচারের দাবিতে উচ্চআদালতের দ্বারস্ত পরিবার। ঘটনাটি ঘটেছে মালদার ভূতনি থানার হিরানন্দ পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কেদারটোলা গ্রামে। অভিযুক্ত ওই বেসরকারি আবাসিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক এবং ক্লাস শিক্ষককে যতক্ষণ না পর্যন্ত গ্রেপ্তার না করা হচ্ছে ততক্ষণ দেহ বরফে সংরক্ষিত করা থাকবে গ্রামবাসী সহ মৃত ছাত্রের বাবা পরিস্কার জানিয়ে দিয়েছেন।


জুলাই মাসের ২ তারিখ রাতে মানিকচকের রোজমেরী মিশনারী স্কুলের আবাসন থেকে দেহ উদ্ধার হয় শ্রীকান্ত মন্ডল নামে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রর রহস্যজনক ভাবে মৃত্যুর ঘটনা সামনে আসে।বিদ্যালয় কতৃপক্ষ অবশ্য আত্মহত্যা করেছে ছাত্র বলেই জানায়।গত ২ তারিখ বুধবার রাতে দেহ উদ্ধার হয়।পরের দিন বৃহস্পতিবার দেহ ময়নাতদন্ত হয়।শুক্রবার পুলিশের কাছে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাজির হোসেনের বিরুদ্ধে মৃত ছাত্রর বাবা প্রেম কুমার মন্ডল অভিযোগ দায়ের করেন।বিদ্যালয়ের শিক্ষকের অত্যাচারেই মৃত্যু হয়েছে বলেই দাবি পরিবারবর্গের।
মৃত ছাত্রের বাবা প্রেম কুমার মন্ডল জানান, আমার ছেলে আত্মহত্যা করতে পারে না ছেলেকে মেরে ফেলা হয়েছে।ইতিমধ্যেই ওই ইস্কুলের কর্তৃপক্ষের নামে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের রিপোর্টে আত্মহত্যা কথা বলা হয়েছে।সেটাওমানতে নারাজ মৃতের বাবা প্রেম কুমার মন্ডল।আজকে প্রায় ১৩ দিন হয়ে গেল মৃত ছাত্রের সৎকার্য সম্পূর্ণ হয়নি।পরিবার ও গ্রামবাসীদের সহযোগিতায় স্থানীয় ক্লাবের ফ্রিজের মধ্যে বরফ দিয়ে রাখা হয়েছে ছাত্রের মৃতদেহ। গ্রামবাসী ও ছাত্রের মা-বাবার দাবি অবিলম্বে পুনরায় ময়নাতদন্ত করা হোক।অভিযুক্তদের ধরা হোক,ফাঁসির দাবি জানাই।সিসিটিভি ফুটেজ দেখানো হোক।এদিকে মৃতদেহ ক্লাব ঘরে রাখা হয়েছে এবং সেই ঘরের বাইরে দিবারাত্রি ২৪ ঘন্টা গ্রামের পুরুষ ,মহিলারা পাহাড়া দিচ্ছেন।এখন দেখার বিষয় মহামান্য কলকাতা হাইকোর্ট এর বিচারপতি এই মামলা কি রায় দেন সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে পরিবার ও গ্রামবাসীরা।

       সম্প্রতি ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রশাসনের পরিবারবর্গকে দেখলেও সন্তুষ্ট নন পরিবার সহ গ্রামবাসীরা।পুনরায় ময়নাতদন্তের দাবি এবং শিক্ষকের শাস্তির দাবি পরিবার সহ গ্রামবাসীদের। ১৩ দিন ধরে দেহ ফ্রিজে সংরক্ষণ করে রেখেছে পরিবার ও গ্রামবাসীরা।পাশাপাশি গ্রামের বাসিন্দারা দিন রাত এক করে দেহ পাহাড়া দিচ্ছেন।  

শুভময় বসু বলেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকার আইন মেনে ব্যবস্থা গ্রহন করছে।আইন মোতাবেক সমস্ত কিছু হয়েছে

গৌর চন্দ্র মন্ডল বলেন, পরিবার ময়নাতদন্তের রিপোর্টে সন্তুষ্ট নন। পরিবার সহ এলাকাবাসী সুবিচারের আশায় দেহ আগলে রেখেছেন। এদিন পুলিশি নিস্ক্রিয়তার অভিযোগ করেন তিনি ৷

শেয়ার করুন...

Facebook
Twitter
WhatsApp
Telegram

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Live TV

play-sharp-fill

নতুন খবর আবার পড়ুন

বেতন বৃদ্ধির দাবি, কোচবিহার পৌরসভার কাউন্সিলরদের ঘিরে বিক্ষোভ অস্থায়ী কর্মীদের

কোচবিহার পৌরসভার কাউন্সিলরদের ঘিরে বিক্ষোভ পৌরসভার অস্থায়ী কর্মীদের।বিক্ষোভ কারীদের দাবি

Read More »

বালুরঘাট শহরের গোবিন্দপুর এলাকায় ফায়ার সেফটি বিহীন সোয়া মিল, বিধ্বংসী আগুনের থেকে রক্ষা পেলেন স্থানীয়রা

জনবহুল এলাকায় ফায়ার সেফটি বিহীন সোয়া মিল। বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডের হাত

Read More »