আলু নিয়ে আজব কান্ড আলিপুরদুয়ারের তপসিখাতাতে। তৃনমূল নেতা প্রকাশ রায় আলু চাষ করলে অন্য চাষীদের ফলন কম হয়, দাম পাননা। সেই অভিযোগ শুনে এবছর প্রকাশ আলু চাষ না করায়, তপসীখাতার বিস্তীর্ণ এলাকার চাষীদের আলুর ফলন ভালো হয়েছে। কিন্তু আলুর দাম না পেয়ে হতাশ আলু চাষীরা।
জানাগেছে প্রকাশ প্রতিবছর ২০/২২ বিঘে জমিতে আলু চাষ করতেন।তিনি আলু চাষ করায় অন্য চাষীদের আলুর ফলন কম হত, দাম পেতেন না চাষীরা। সেই থেকে বন্ধুবান্ধব ও আলুচাষীদের কাছে অপয়া নামে খ্যাত হয়ে যান তৃণমূল নেতা প্রকাশ। গ্রামের আলুচাষীরা সাফ জানিয়েছেন, এই প্রকাশ আলু চাষ করলেই আলুর ফলন হয়না। দাম পাননা কৃষকেরা। দিকে দিকে প্রকাশই দোষী সাব্যস্ত হন।

তার জন্যই আলুর ফলন ও দাম পাননা কৃষকরা। এভাবে কয়েকবছর চলায় অপবাদ নিয়েই চলতে হচ্ছিল প্রকাশ কে। জানাগেছে আলিপুরদুয়ার ১ নম্বর ব্লকের তপসীখাতা এলাকার ৯০.শতাংশ কৃষকই আলু চাষ করেন। এই আলু আলিপুরদুয়ার ১ নম্বর ব্লকের কয়েকটি হিমঘরে রাখা হয়। বর্তমানে এক গাড়ি ২০০ প্যাকেট আলুর দাম ৫০ হাজার টাকা প্রতি কেজি ৬ টাকা। আলুর ফলন বেড়ে যাওয়ায় দাম পাচ্ছেন না কৃষকরা। যা খরচ তাই উঠছে। সেই ঘটনায় হতাশ কৃষকরা। তার উপর অপয়া প্রকাশের জন্য আলুর ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়েছে বলে আলু চাষীদের অভিমত। আলিপুরদুয়ার ১ নম্বর ব্লকের আলু চাষীদের বক্তব্য আলু চাষী প্রকাশ আলু চাষ করলে আমরা আলুর দাম পাইনা। এক্ষেত্রে প্রকাশের দোষ আছে। আলু চাষী প্রকাশ রায় গ্রামের আলু চাষীদের বক্তব্য শুনে খানিক টা তিতিবিরক্ত হয়ে এবছর আর আলু চাষই করেননি। আর তাতেই নাকি এবার আলু চাষীদের ফলন ভালো হয়েছে। কিন্তু দাম পাচ্ছেন না আলু চাষীরা।বাধ্য হয়ে দোষ কাটাতে শনিবার রাতে তপসীখাতা গ্রামে মা কালীর পুজো দেন প্রকাশ রায়। এমনকি আলুচাষী ও গ্রামের মানুষজনদের নিয়ে কীর্তনের আসরও বসে। সবাইকে পাতপেড়ে খাওয়ানো হয় খিচুড়ি প্রসাদ। আর গ্রামের সব আলু চাষীদের কথা ভেবে সিদ্ধান্ত নেন, তিনি আর আলু চাষ করবেন না।
এই বিষয়ে আলু চাষী তথা স্থানীয় সমাজসেবক প্রকাশ রায় বলেন, আমি চাই গ্রামের আলু চাষীদের আলুর উৎপাদন বাড়ুক। তারা আলুর দাম পান। আমি গ্রামবাসীদের কথা ভেবে আর আলু চাষ করবোনা।আমার দোষ কাটাতে আজ পুজা করলাম। গ্রামবাসীদের ডেকে কীর্তন করা হল। গ্রামের মানুষের কাছে কড়োজোরে প্রার্থনা করলাম। আমি আর আলু চাষ করবো না। আমাকে যে অপবাদ দেওয়া হয়েছিল তা ঘোচানোর জন্য আমি পুজা ও কীর্তনের আয়োজন করেছি।