তৃণমুল বিধায়ক সাবিত্র মিত্র ঘনিষ্ট তৃণমুল কর্মীকে ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাড়া করে কুপিয়ে খুন। জমি সংক্রান্ত বিবাদের জেরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন। ঘটনাটি ঘটেছে মালদার ইংরেজবাজার থানার লক্ষ্মীপুর এলাকায়।ঘটনায় দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য মেডিক্যালে পাঠিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

জানা গিয়েছে,মৃতের নাম আবুল কালাম আজাদ।বাড়ি মানিকচক গোপালপুর শান্তিমোড় কালিতলা এলাকায়।স্বক্রিয় তৃণমুল কর্মী বলে পরিচিত।বৃহস্পতিবার রাতে জন্মদিনের অনুষ্ঠানে আছে বলে বেড় হয়।রাত হয়ে যাওয়ায় বাড়ি থেকে ফোন করা হয়। কিন্তুু তারপরেও ফিরে আসেনি। কিছুক্ষন পর খুন হয়ে পরে আছে বলে ফোন আসে। জন্মদিনের পার্টিতে বচসা শুরু হয়। সেখানে ঝামেলা শুরু হয়।এরপর মাইনুল শেখ সহ বেশ কয়েকজন ধারালো অস্ত্র নিয়ে তারা করে। এরপর একটি ঘরের মধ্যে আবুল কালাম আজাদ ঢুকে পরে। এরপর তাকে ঘর বন্ধকরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করে।ঘটনার খবর পেয়ে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার কর ময়না তদন্তের জন্য মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।ঘটনা ঘিরে তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরেই শুরু হয়েছে দ্বিমত।
মৃতের বাবা মহন্মদ আইনুল হক জানান,আমার ছেলে জমির ব্যবসা করে। রাত্রিবেলা কাজিগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য মাইনুল শেখের সাথে দীর্ঘদিন থেকে জমির ব্যবসা করতো।মাইনুল ও তার ছেলে খুন করেছে। আমার ছেলে তৃণমুলের স্বক্রিয় কর্মী।মানিকচকের বিধায়ক সাবিত্রী মিত্রের খুব ঘনিষ্ট।
ইংরেজবাজার তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি প্রতিভা সিংহ বলেন, ২০২৩ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে আমি ওকে টিকিট দেয় নি। ও আমাদের দল থেকে পঞ্চায়েত সমিতিতে নির্বাচিত হয়েছিল ২০১৮ সালে।কিন্তু ওর নামে প্রচুর অভিযোগ ছিল ও জমি মাফিয়া খুবই বাজে ছেলে।ওই জন্য আমি ওকে সাইট করেছিলাম টিকিট দেয়নি। তারপরে কার নেতৃত্বে কে বা কারা জয়েন করেছে আমি জানি না।আমি ব্লক প্রেসিডেন্ট হিসেবে ওকে জয়েন করাইনি।তাই ও কংগ্রেসেরই মেম্বার।নিয়মিত ব্লক প্রেসিডেন্টের জয়েন করানো উচিত।ও তৃণমূলের ঝাণ্ডা নিয়ে এদিক-ওদিক যাচ্ছে।আমি জানি না কে বা কারা ওকে যোগদান করিয়েছে।ওর সাংগঠনিক ক্ষমতা কিছু নেই।
জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সী বলেন,আমরা স্থানীয় ভাবে খবর নিয়েছি। আমাদের লক্ষ্মীপুরে যে খুন হয়েছে মহিলা সংক্রান্ত বিষয়ে এই খুন হয়েছে। প্রসঙ্গে দলের কোন বিষয় নেই। এই ঘটনার সময় দলের কেউ জড়িত আছে কিনা পুলিশ সেটা তদন্ত করবে। আমি পুলিশ প্রশাসনের কাছে আবেদন করব তদন্ত করুন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করুন। যারা এই ধরনের ঘটনা সঙ্গে যুক্ত থাকবে তারা দলের কর্মী হতে পারেনা।
দক্ষিণ মালদা জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ী বলেন,তৃণমূলের নেতাকর্মীরা এই ধরনের লেনদেনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়ছে।আর সেই কারণেই এই খুনের ঘটনা ঘটেছে।