বামফ্রন্টের রাজত্বে পশ্চিমবঙ্গে ছিল অনুপ্রবেশকারীদের সেভ প্যাসেজ আর এখন তা হয়ে গেছে অনুপ্রবেশকারীদের সেভ হোম। বর্তমান সময়ে কোচবিহারকে সেন্টার করে এখানে বাংলাদেশের মাধ্যমে ঢুকে বিভিন্ন মডিউলকে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই মুহূর্তে কোচবিহার হয়ে গেছে এধরনের অপারেশনের একটি এপিক সেন্টার। অত্যন্ত বিপজ্জনক অবস্থার মধ্যে আছে পশ্চিমবঙ্গ। কিন্তু রাজ্যের বর্তমান সরকার তা মেনে নিচ্ছে না। বুধবার বাংলাদেশী আখ্যা দিয়ে বাংলা ভাষাভাষীদের ওপর দমন পীড়নের প্রতিবাদে রাস্তায় নামবেন মুখ্যমন্ত্রী । এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে শমীক ভট্টাচার্য বলেন, পদযাত্রার নামে এই নাটক করার থেকে আগে যারা বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী এরাজ্যে ঢুকেছে তাদের চিহ্নিত করে বাংলাদেশে ফেরত পাঠান কোচবিহারে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে এই বার্তা দিলেন বিজেপি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য।
এদিন কোচবিহার শহরের ঠাকুর পঞ্চানন সভাকক্ষে বিজেপির এই নবনির্বাচিত রাজ্য সভাপতির সম্বর্ধনা সভার আয়োজন করে বিজেপি কোচবিহার জেলা কমিটি। এই সম্বর্ধনা সবার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন শমীক ভট্টাচার্য।

শমীক ভট্টাচার্য সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন মুখ্যমন্ত্রী চাইছেন সারা ভারতবর্ষ থেকে বিচ্ছিন্ন করে এই রাজ্যটাকে একটা স্বাধীন ইসলামিক রাষ্ট্র বানাবেন এটা মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্য। আজকে এই ধরনের বাঙালি বাঙালি করে উগ্র বাঙালি প্রাদেশিকতার রাজনীতি যারা করছেন তারা এটা করার আগে চিন্তা করবেন ৪০লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক রয়েছেন যারা ভিন্ন রাজ্যে কাজ করছেন। ব্যাঙ্গালোরে ১৪লক্ষ ৬০হাজার শিক্ষিত তরুণ-তরুণী সেখানে কাজ করছেন, কারণ পশ্চিমবঙ্গে শিল্প নেই। সরকার প্রকৃতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে, এই সরকার ডুয়ার্সের বিভিন্ন খরস্রোতা নদী থেকে বোল্ডার তুলে সেগুলোর অবস্থা পাল্টে দিয়েছে। এই সরকার কার্যত উত্তরবঙ্গকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিয়েছে। এর বিরুদ্ধে বিজেপির লড়াই।
তিনি বলেন, দেশটা ধর্মশালা নয়। বিদেশি অনুপ্রবেশকারীদের থাকতে দেওয়া হবে না এই বাংলায়। যে পরিস্থিতি পশ্চিমবঙ্গে তৈরি হয়েছে, তাতে এ রাজ্য পশ্চিম বাংলাদেশে পরিণত হতে পারে।