ঐতিহ্যবাহী সম্প্রীতির ৬২৯ বছরের রথ যাত্রা উৎসবের অনুমতি দিচ্ছে না পুলিশ।কোন কারন নেই যা ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক। যেখানে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী দীঘাতে জগন্নাথদেবের মন্দির স্থাপন করেছেন। রথ যাত্রা উপলক্ষে সেজে উঠেছে দীঘা। সেই একই বাংলায় অবস্থিত মালদা জেলার কালিয়াচকের ৬২৯ বছরের পুরোনো ঐতিহ্যবাহী জালালপুর রথ যাত্রা উৎসব আজ অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখে।আর এই নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির রাজনৈতিক তরজা শুরু জেলা জুড়ে।

সম্প্রীতি মিলনক্ষেত্র এই কালিয়াচকের জালালপুর রথ যাত্রা উৎসব।বেনীমাধবের পঞ্জিকাতেও উল্লেখ রয়েছে এই রথ যাত্রার। এই উৎসব নিজস্ব দেবোত্তর জমিতে হয়। কিন্তু এই বছর এই উৎসব পালনের অনুমতি দিচ্ছে না পুলিশ প্রশাসন।
এই রথ যাত্রা উৎসব কমিটির সম্পাদক গৌতম মন্ডল জানান,রথ যাত্রা উৎসব নয় দিন ধরে চলে।কয়েকলক্ষ মানুষের সমাগম হয় এখানে।তাই বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশের কাছে দারস্থ হয়েছি। কিন্তু এখনও অনুমতি পায় নি।রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও জানানো হয়েছে।তবে উত্তর পায় নি। ফলে দুঃশ্চিন্তায় আছি।জমি মাফিয়াদের সাথে যোগাযোগ করে পুলিশ এই উৎসব বন্ধ করে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে।তাঁর অভিযোগ এই উৎসব বন্ধ হয়ে গেলে দেবোত্তর জমি দখল করে জমি মাফিয়ারা প্লট তৈরী করবে। পরবর্তীতে বিক্রী করবে। আর তাই অনুমতিতে ‘না’পুলিশের।

এলাকার বাসিন্দা মীরাজুল আলী জানান,রথ যাত্রা উৎসবে সামিল হন তারা।বাবা ঠাকুরদার আমল থেকেই এই উৎসব হয়। গান,যাত্রাপালা এই উৎসবের বিশেষ আকর্ষণ রয়েছে।কথিত আছে একসময় মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ এই রথ যাত্রার মেলা থেকে ছাতা ও টর্চলাইট কিনে দিতেন তাঁদের জামাইদের।ফলে এই মেলার ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে অনেক। আর ঐতিহ্যবাহী এই মেলার অনুমতি দিতে অস্বীকার করছে কালিয়াচক থানার পুলিশ
যদিও উৎসব কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে পুলিশের অনুমতি না পেলে আদালতের দারস্থ হবেন তারা।পাশাপাশি আন্দোলনও করবেন।
পুলিশের এই সিদ্ধান্তের তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছেন মালদা দক্ষিণ বিজেপির সাংগঠনিক সভাপতি অজয় গাঙ্গুলী। তিনি বলেন পুলিশ শাসক দলের তাবেদারি করছে।তাঁর দাবী যে দেবোত্তর জমির উপর এই রথ যাত্রা উৎসবটি হয়।তা দখল করতে জমি মাফিয়াদের সাহায্য করতে পুলিশ অনুমতিতে নাকচ করছে।
অপরদিকে তৃণমূল কঃগ্রেস নেতা কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী বলেন,সম্প্রীতি রক্ষা করতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পুলিশ সেটা বুঝতে পেরেছে তাই অনুমতি দেয় নি