অর্ণব পাল,মালদা :মালদহ মেডিকেল কলেজের গার্লস হোস্টেলে ছাদের চাঙ্গর ভেঙে আতঙ্ক।মেডিক্যাল কলেজের ভবন তৈরীর দুই বছরের মধ্যে ভেঙে পড়লো চাঙর।ফলে ওই ভবনে থাকতে ভয় পাচ্ছে ছাত্রীরা। কেন এই চাঙর ভেঙে পরছে তার উত্তর দিতে পারেনি মেডিক্যাল কতৃপক্ষ। বিজেপির অভিযোগ কাটমানিতে টাকা শেষ কিভাবে বিল্ডিংয়ের কাজ হবে। অন্যদিকে তৃণমুলের দাবি মেডিক্যাল কতৃপক্ষ বিষয়টি দেখছে।

মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় ঘটা করে ২০২৩ সালের ২৬ শে এপ্রিল মালদহ মেডিক্যাল কলেজের গার্লস হোস্টেলের ভবন উদ্বোধন করেন। উদ্বোধন করা হয়েছিল কলেজ পড়ুয়াদের জন্য গার্লস হোস্টেল ভবনের।কিন্তু দু’বছর না ঘুরতেই হোস্টেল ভবনের চতুর্থ তলা থেকে খসে পড়ছে ছাদের চাঙর।যে কোন মুহূর্তে ঘটে যেতে পারে বড়সড় দুর্ঘটনা।প্রাণ সংশয়ের আতঙ্কে হোস্টেলে থাকতে পারছেন না মেডিকেল ছাত্রীরা। মেডিকেল ছাত্রীদের অভিযোগ,তাদের থাকার জন্য যে হোস্টেল তৈরি করা হয়েছে তা একেবারেই নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।চাঙর ভেঙে মাথায় পড়লে প্রাণও যেতে পারে তাদের। তার আতঙ্কে হোস্টেলে থাকতে পারছেন না। তাদের কিছু হলে দায়িত্ব নিতে হবে,মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষকে।তারা বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানালেও শুধু মৌখিক আশ্বাস পেয়েছেন।

এদিকে মেডিকেল ছাত্রীদের এই অভিযোগ পাওয়ার পরই হোস্টেল ভবন পরিদর্শন করেন মালদহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ পার্থ প্রতিম মুখোপাধ্যায়।তিনি বলেন হোস্টেল ভবন রিপিয়ারিং এর কাজ শুরু করা হচ্ছে।তার পাশাপাশি ছাত্রীদের অন্যত্র সরানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।কিন্তু দু বছরের মধ্যেই হোস্টেলের এই অবস্থা কেন ? তার উত্তর দিতে পারেননি অধ্যক্ষ।

আর এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিজেপির জেলা সভাপতি অজয় গাঙ্গুলীর অভিযোগ ১০৫ কোটি টাকা কেন্দ্রীয় সরকার দিয়েছে মালদহ মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষকে।অথচ কাজ হয়নি,কাটমানিতেই চলে গেছে সব টাকা।

অন্যদিকে মালদা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র আশিষ কুন্ডু জানান, আমরা বিষয়টি শুনেছি। বিষয়টি খুব সিরিয়াস।মালদহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ তিনি ইতিমধ্যেই বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন।