পঞ্চায়েতের ভালো কাজের উপহার বিনোদন। সেই পঞ্চায়েতের কাজ করার অভিজ্ঞতা নেওয়ার জন্য ভ্রমণ ট্যুরের ব্যবস্থা রয়েছে।আর সেই ভ্রমণ ট্যুরে খরচ তিন লক্ষ তিন হাজার টাকা। হোটেল, খাবার,যাতায়াত সব কিছুর বিল জমা পড়েছে পঞ্চায়েত দপ্তরে। পঞ্চায়েতের তৃণমূলের ১৪জন সদস্য পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকায় ভ্রমণ করেছেন।মালদার মানিকচক ব্লকের তৃণমূল পরিচালিত চৌকি মিরদাদপুরের এমন ঘটনা ঘিরে শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক চর্চা।

জানা গিয়েছে,তৃণমূল পরিচালিত চৌকি মিরদাদপুরের মোট আসন ২৪টি। তৃণমুলের আসন ১৫টি। বিজেপি ৪টি ও সিপিএম কংগ্রেস জোট ৫টি আসন পায়। এদিক ওই পঞ্চায়েতে তৃণমূল পরিচালিত।পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের আইনে রয়েছে কোন পঞ্চায়েত ভাল কাজ করেছে।সেই পঞ্চায়েতের কাজ করার অভিজ্ঞতা নেওয়ার জন্য ভ্রমণ ট্যুরের ব্যবস্থা রয়েছে।তৃণমুল সদস্যরা পঞ্চায়েতের তিন লক্ষ ত্রিশ হাজার টাকা ব্যায় করে দীঘায় বিনোদন ট্যুর করেন। আর সেখানকার খরচের বিল প্রকাশ্যে আসতেই চক্ষু চড়ক গাছ সকলের।
সিপিএম নেতা দেবজ্যোতি সিনহার অভিযোগ তৃণমূল পরিচালিত চৌকি মিরদাদপুরের পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের আইনে রয়েছে কোন পঞ্চায়েত ভাল কাজ করেছে। সেই পঞ্চায়েতের কাজ করার অভিজ্ঞতা নেওয়ার জন্য ভ্রমণ ট্যুরের ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যরা সেই নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ২১জুলাই সভায় যান। তারপর পঞ্চায়েত সদস্যরা দীঘায় গিয়ে মোচ্ছাব করেছেন। যার বিল বাবদ পঞ্চায়েত দপ্তরে জমা পড়েছে তিন লক্ষ তিন হাজার টাকা।
তৃণমূলের জেলার সহ সভাপতি শুভময় বসু জানান বিষয়টি নজরে এসেছে। তবে সরকারি দপ্তরের তথ্য কি করে ফাঁস হল তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। শুধু তাই নয় সরকারি একাংশ আধিকারিক ম্যালাইন করেছেন শাসকদলকে এমনই অভিযোগ তাঁর।
যদিও পঞ্চায়েত প্রধান মহঃ আনোয়ার আলী সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।