শুক্রবার কোচবিহার শহরের ক্ষুদিরাম স্কয়ারে স্বাধীনতা আন্দোলনের বামপন্থীদের ভূমিকা এবং কৃষি আমাদের ভিত্তি, শিল্প আমাদের ভবিষ্যৎ এই দুটি বিষয়ের ওপর যথাক্রমে আলোচনা করলেন সংগঠনের রাজ্য সভাপতি অয়নাংশু সরকার এবং কোচবিহার জেলার প্রাক্তন যুব আন্দোলনের নেতা অনন্ত রায়। সভায় প্রারম্ভিক বক্তব্য পেশ করেন সংগঠনের কোচবিহার জেলা সম্পাদক ইউসুফ আলি, সভাপতিত্ব করেন মানস বর্মন। এদিনের এই সভায় তৃণমূল বিজেপি ছেড়ে ডিওয়াইএফআই সংগঠনেো যোগ দেন ১১জন যুবক। তাদের হাতে সংগঠনের পতাকা তুলে দেন অয়নাংশু সরকার।

তৃণমূল বিজেপির বোঝাপড়াতে বর্তমান সময়ে এই পশ্চিমবঙ্গের শিল্প কলকারখানা কাজের পরিবেশ শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হয়েছে এই পরিবেশকে পুনরুদ্ধার করতে হলে গোটা রাজ্যের যুব সমাজ সহ সমস্ত অংশের মানুষকে স্মরণ করতে হবে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের মতো ব্যক্তিত্বকে এই কারণেই তাকে স্মরণ করতে হবে যে পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে সংস্কৃতির ওপরে যে আক্রমণ এই আক্রমণের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যরা সুস্থ সংস্কৃতি গড়তে চেয়েছিলেন কাজের পরিবেশ ও শিক্ষার পরিবেশ গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। এই পরিবেশকে ফিরিয়ে আনতেই ঐক্যবদ্ধ হতে হবে যুবসমাজকে। এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই কথাই বললেন ডিওয়াইএফআই রাজ্য সভাপতি অয়নাংশু সরকার।
এদিন অয়নাংশু সরকার বলেন, বর্তমান সময়ে পশ্চিমবঙ্গে চরমতম বেকারত্ব। এই বেকারত্বের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েই পশ্চিমবাংলায় কর্মসংস্থানের একটা পরিবেশ তৈরি হয়েছিল বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে।রাজ্যজুড়ে শিল্প, কলকারখানা গড়ে তোলার পরিবেশ তৈরি হয়েছিল। কিন্তু ২০১১সালের আগে থেকেই সিঙ্গুর, শালবনী, কাটোয়া সহ বিভিন্ন জায়গায় এই শিল্প ধ্বংস করার নেতৃত্ব দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস এবং তার সাথে প্রত্যক্ষ সহযোগিতা করেছিলেন বিজেপি নেতারা। এই দুই শক্তির বিরুদ্ধে আন্দোলনকে তীব্র থেকে তীব্রতার করার এদিন ডাক দেন তিনি।