জনবহুল এলাকায় ফায়ার সেফটি বিহীন সোয়া মিল। বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডের হাত থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ভোরে আতঙ্কের মধ্য দিয়েই ঘুম ভাঙ্গে স্থানীয়দের। ঘটনা বালুরঘাট পৌরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের গোবিন্দপুর এলাকার। এলাকার কাঠ চেরাই মিলের একটি অংশে দাউদাউ করে আগুন জ্বলতে দেখেন স্থানীয় মানুষজন। প্রথমে মিলের নাইট গার্ডকে ডেকে সকলে মিলে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন বাসিন্দারা। পরবর্তীতে দমকল বিভাগে ফোন করা হলে দমকলের একটি ইঞ্জিন এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এই অগ্নিকাণ্ড বিশাল আকার ধারণ করতে পারতো বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
জনবহুল এলাকায় এই সোয়ামিল থাকলেও অগ্নিনির্বাপণের কোন ব্যবস্থা নেই বলে অভিযোগ স্থানীয়দের । এলাকার বাসিন্দা বাপ্পা চৌধুরীর বলেন এই মিলের চারিদিকে শুকনো কাঠ ছড়ানো রয়েছে। সম্পুর্ণ নিয়ম বহির্ভূতভাবে সোয়ামিল চলছে। আজকের এই ঘটনা বিরাট আকার ধারণ করতে পারতো। অবিলম্বে এই মিলে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
সোয়া মিলের নাইট গার্ড গোপাল সরকার বলেন, ঘুমের মধ্যেই তিনি স্থানীয় মানুষজনের চিৎকার চেচামেচি শুনে তড়িঘড়ি উঠে জল দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। দমকল বাহিনী এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
মিল মালিক নরেন কর্মকার বলেন, তেমন কিছু ক্ষতি হয়নি। ছোট ঘটনা বলে অগ্নিনির্বাপণের বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি।
যদিও দমকল বাহিনীর কর্মকর্তা এই বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে চাননি।
