নিজস্ব সংবাদদাতা,কোচবিহার: কিছু কিছু লম্বা বেটে, বেটে- সরু, সরু নেতা রাস্তায় নেমে পড়েছেন। হাওয়ায় তালগাছ, নারকেল গাছ, সুপারি গাছের মতো দুলছেন। কিভাবে জেলার নেতাদের ছোট করা যায়, তা ভাবছেন। ঘরে বসে এখন থেকেই কে প্রার্থী হবেন, তা ঠিক করছেন। প্রার্থী তালিকা তৈরি করছেন। এই লোকগুলো ভালো করছেন না। এভাবেই নাম না করে রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ও পার্থপ্রতিম রায় সহ তার অনুগামীদের নিশানা করে দলীয় সভায় বক্তব্য রাখলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ। তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল ফের প্রকাশ্যে ।
নাম না করে তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা তথা কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ , তৃণমূল মুখপাত্র পার্থপ্রতিম রায় সহ রবি অনুগামী বলে পরিচিত তৃণমূল ক্ষেত মজদুর সংগঠন সভাপতি খোকন মিঞা, শ্রমিক সংগঠনের জেলা সভাপতি পরিমল বর্মনকে আক্রমণ করলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ । দিনহাটা নয়ারহাট হাইস্কুলের মাঠে বিধানসভা ভিত্তিক কর্মীসভার বক্তব্য রাখতে গিয়ে উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ রবীন্দ্রনাথ ঘোষ এর নাম না করে আক্রমণ করতে গিয়ে বলেন, আপনি নিজেকে ১৯৯৮ এর তৃণমূল বলবেন আর আপনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রার্থীকে মানবেন না আপনি জোড়া ফুলে ভোট না দিয়ে পদ্মফুলে ভোট দেবেন। ওটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেত্রী বলে স্বীকার করা না ওটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চূড়ান্ত অসম্মান । তিনি বলেন যারা এ ধরনের কাজ করছেন তাদের দলের কোণঠাসা করতে হবে।
দলের খেত মজদুর সংগঠনের নেতা খোকন মিয়া একটি ফেসবুক পোস্ট কে উক্তি করে উদয়ন বলেন কালকে ফেসবুকে চারজনের ছবি দিয়ে লিখেছেন আমরা ভীম অর্জুন নকুল সহদেব । ঠিকই বলেছেন যুধিষ্ঠির নেই । কারণ যুধিষ্ঠির হবার মতো সাহস সততা ও মানসিকতা আপনাদের নেই । তার হুঁশিয়ারি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে চেয়ে আঙ্গুল উঠবে তাকে প্রয়োজনে দুমড়ে মুচড়ে দিতে হবে ।
উদয়নের এই হুঁশিয়ারির মূল কারণ হলো দীর্ঘদিন থেকে রবি পার্থ মধ্যে বিভেদ থাকলেও বর্তমান তারা দুজন কাছাকাছি এসেছেন। জেলা রাজনীতিতে তারা কাকা ভাইপো নামে পরিচিত । আর কাকা ভাইপো বিভিন্ন জায়গা বিভিন্ন বৈঠক করছেন । তাতেই উদয়নের এই মন্তব্য। এদিন উদাহরণের এই মন্তব্যের সময় মঞ্চে জেলা তৃণমূলের সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক, জেলা পরিষদের সহ-সভাপতি আব্দুল জলিল আহমেদ সহ একাধিক জেলার নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
গোটা বিষয় নিয়ে প্রাক্তন সাংসদ পার্থ প্রতিম রায় বলেন, তিনি উদয়ন গুহের বক্তব্য শুনেন নি। নিষ্ঠা সহকারে দলের নির্দেশ অনুযায়ী দল করেন তারা। রবীন্দ্রনাথ ঘোষের সাথে মতানৈক্যের অবসান হয়েছে। গোষ্ঠী কোন্দলে তত্ত্ব তিনি খারিজ করে দেন৷
তৃণমূল ক্ষেত মজদুর সংগঠনের সভাপতি খোকন মিয়া বলেন , কোন যুধিষ্ঠির এর কথার উত্তর দেব নাসমস্ত কিছু বিচার করবেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।