হাতে আর মাত্র কয়েকদিন, মহালয়া থেকেই শুরু হয়ে যাবে পুজোর আমেজ। তৃতীয়া চতুর্থী থেকেই উদ্বোধন শুরু হবে পুজোর। ভিড় এড়াতে অনেকেই তৃতীয়া চতুর্থী থেকেই পূজো মণ্ডপ মুখী হন। আর এই কারণেই আগেভাগেই পুজোর মণ্ডপ গুলিতে কি কি ব্যবস্থা থাকছে, দর্শনার্থীদের ঢোকার পথ এবং বেরোনোর পথ কতটা প্রশস্ত হচ্ছে, অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা থেকে শুরু করে বিদ্যুতিক সরঞ্জাম এবং অন্যান্য বিষয়ের সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখলেন শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের পুলিশ কমিশনার, দমকল বিভাগের আধিকারিকেরা এবং বিদ্যুৎ বিভাগের আধিকারিকরা।

শিলিগুড়ির বড় বড় পুজো মণ্ডপ গুলি মঙ্গলবার ঘুরে দেখেন পুলিশ প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিরা। পুজোর কদিন যাতে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় থাকে তার জন্য বাড়তি পুলিশ কর্মী নিয়োগের পাশাপাশি প্রতিটি ক্লাবের স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ, সিসিটিভি ক্যামেরার ব্যবহার করবে শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশ। যেকোনো রকম অপ্রীতিকর ঘটনার রুখতে তৈরি থাকবে স্পেশাল টীম। বিদ্যুৎ বিভাগ এবং দমকল বিভাগ ও পুলিশের মতন ২৪ ঘন্টা পূজোর কদিন সতর্ক থাকবে। প্রতিটি ক্লাবকে স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি অগ্নি নির্বাপন সম্পর্কে প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগের পরামর্শ দিল শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশ। শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার সি সুধাকর সহ উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্তারা শিলিগুড়ির বিভিন্ন পুজো মণ্ডপ ঘুরে দেখে জানান, পুজোর কদিন শহরে বাড়তি পুলিশের পাশাপাশি পুলিশের বিশেষ বাহিনী টহল দেবে, ব্যবহার করা হবে উইনারস বাহিনীকে ও। পুলিশের হেল্পলাইন গুলিকে সাধারণ মানুষের ব্যবহারের জন্য অনুরোধ করেছেন পুলিশ কমিশনার সি সুধাকর। অপরদিকে সমস্ত ক্লাবগুলিকে রাস্তাঘাট বন্ধ করে আলোকসজ্জার গেট করা যাবে না বলে সাফ জানিয়েছেন পুলিশ কমিশনার এবং অপ্রশস্ত প্রবেশ এবং প্রস্থানের গেটগুলিকে চওড়া করার উপদেশ দেওয়া হয়েছে পুলিশের তরফ থেকে।