সনাতন মিত্র, বক্সিরহাট,কোচবিহার :কোচবিহার জেলার অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র তুফানগঞ্জ-২ ব্লকের রসিকবিল মিনি জু পর্যটনকেন্দ্র। বাম আমলে ২,১০০ হেক্টরেরও বেশি জমি নিয়ে রসিকবিল প্রকৃতি পর্যটনকেন্দ্রটি গড়ে ওঠে। এই পর্যটন কেন্দ্রে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি সহ চিতাবাঘ, চিতল হরিণ, ঘড়িয়াল, ময়ূর সহ নানা জীবজন্তু রয়েছে। নিরিবিলি ও শান্ত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর এই মিনি জু পর্যটন কেন্দ্র।

এই রসিকবিল মিনি জু পর্যটন কেন্দ্রে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে জেলা তো বটেই আশপাশের জেলা এমনকি পড়শি রাজ্য অসম থেকেও বহু পর্যটকরা এই পর্যটন কেন্দ্রে প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করতে ভিড় জমান। এই রসিকবিল মিনি জু পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটকদের আরো আকর্ষন বাড়াতে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নিয়েছে বনদপ্তর। শীতের মরশুমে এই মিনি জু-তে নানা পরিযায়ী পাখির দল রসিকবিলের ঝিলে অতিথি হয়ে আসে। যা দেখতে রসিকবিলে দূর দূরান্ত থেকে আশা পর্যটকরা ভিড় জমান এই মিনিজুতে। রসিকবিলে ময়ূরের ইনক্লুজার, পরিযায়ী পাখিদের জন্য অ্যাভিয়ারি সহ অজগরের জন্য আলাদা করে কনস্ট্রিক্টর হাউস ও একটি ছোট ব্রিজ সহ পশু-পাখিদের পুরোনো আবাসস্থলগুলি ইতিমধ্যেই সংস্কারের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

মোট ১ কোটি ৫৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ে এই কাজ করা হবে বলে বন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে। সব ঠিকঠাক থাকলে আগামী মাস থেকেই এই কাজ শুরু হতে পারে বলে বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে। এতে রসিকবিল প্রকৃতি পর্যটনকেন্দ্রের প্রতি পর্যটকদের আকর্ষণ আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
এর ফলে এই পর্যটন কেন্দ্র অধিক সংখ্যক প্রজাতির পশুপাখি দেখা এবং তাদের সম্পর্কে আরোও জানার সুযোগ পাবেন পর্যটকরা বলেও জানা গিয়েছে।পর্যটনকেন্দ্রের সৌন্দর্যবৃদ্ধিতে সাধুবাদ জানিয়েছে পর্যটকরা। এখন নতুন রূপে রসিকবিলকে উপভোগ করার আশায় দিন গুনছেন রসিকবিলে আসা পর্যটকরা। যদিও পর্যটকদের দাবি বেঙ্গল সাফারিকে যেভাবে সাজানো হয়েছে সেভাবে যদি এই রসিকবিলকে সাজানো হয় তাহলে সব থেকে ভালো হয়। এছাড়াও আরো বিভিন্ন প্রজাতির পশু পাখি আনার দাবিসহ রসিকবিলে বন্ধ হওয়া বোর্ডিং চালু করার দাবি জানিয়েছে পর্যটকরা।
