ভিন রাজ্যে শ্রমিকের কাজ করতে গিয়ে দিল্লি পুলিশের হাতে আটক তিন শিশু এক মহিলা সহ মোট ৮ জন ভারতীয় নাগরিকরা। এই ঘটনার পরেই দুশ্চিন্তায় তাদের পরিবারের সদস্যরা। জানা গেছে, গত বুধবার দিল্লি পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন তিন শিশু ও এক মহিলা সহ ৮ জন ভারতীয় নাগরিক। মূলত বাংলা ভাষায় কথা বলার কারনেই তাদের বাংলাদেশি সন্দেহে দিল্লী পুলিশ আটক করেছে বলে তাদের পরিবারের লোকেরা অভিযোগ করেন । এদিকে জানা গেছে তিন শিশু , এক মহিলা সহ মোট ৮ জনকে গ্রেফতার করলেও তাদের মধ্যে একজনকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।

যেই ব্যক্তিকে পুলিশ ছেড়ে দেয় তার বাড়ি দিনহাটার বড়নাচিনা এলাকায়। জানা গেছে, পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া ৩ শিশু ও এক মহিলা সহ গ্রেফতার হওয়া ৭ জন সাবেক ছিট মহলের বাসিন্দা। তারা এখনো পুলিশের হাতে আটক রয়েছে। দিনহাটায় থাকা তাদের পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করে বলেন, তাদের বৈধ থাকা সত্ত্বেও তাদের দিল্লি পুলিশ নানা ভাবে হেনস্তা করছে। শুধু তাই নয় নানা ভাবে তাদের ওপর অত্যাচার চালানো হচ্ছে এমনকি শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে বলে তারা জানান।বৈধ কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও কেনো তাদের গ্রেফতার করল পুলিশ তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তাদের পরিবারের লোকেরা। সেখানে কেউবা ইটভাটা কেউবা অন্যত্র কাজে গিয়েছে জীবিকার টানে সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে এই অবস্থার মুখোমুখি হলেন তাঁরা। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার পর ওই পরিবার গুলির সদস্যরা দিনহাটার বিধায়ক তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহর সাথেও দেখা করেন এবং দিনহাটা থানার আইসির সাথেও দেখা করে গোটা বিষয়টি জানিয়েছে। বাসিন্দারা চাইছেন অবিলম্বে গ্রেফতার হওয়া সদস্যদের যাতে দ্রুত ছেড়ে দেয় দিল্লি পুলিশ। উল্লেখ, ২০১৫ সালের ৩১ শে জুলাই ভারত বাংলাদেশের মধ্যে ছিটমহল বিনিময় চুক্তি সম্পাদিত হয়। এরপরেই বাংলাদেশের ভেতরে ভারতীয় ছিট মহল গুলির বাসিন্দারা বিনিময়ের ফলে ভারতে চলে আসে। দিনহাটার কৃষি মেলা এলাকায় প্রথম অবস্থায় তাদের সেখানে রাখার বন্দোবস্ত করা হয় এরপরেই শহরের বলরামপুর রোড সংলগ্ন এলাকায় স্থায়ী বাসস্থান গড়ে তোলা হয় সরকারের তরফ থেকে। সেখানেই বর্তমানে থাকছেন সাবেক ছিটের বাসিন্দারা। সেখান থেকেই ভিন রাজ্যে কাজ করতে পাড়ি দিয়েছিলেন বেশ কয়েকটি পরিবারের সদস্যরা। এরপরেই তাদের গ্রেফতার করল দিল্লি পুলিশ।স্বাভাবিক ভাবেই দুশ্চিন্তায় তাদের পরিবারের লোকেরা।