অমৃত রেলস্টেশন প্রকল্পের অধীন দিনহাটা রেলস্টেশনের আধুনিকীকরণের কাজ ধীরগতিতে চলছে। ফলে সমস্যায় পড়েছেন ট্রেনের নিত্যযাত্রী থেকে শুরু করে দূরপাল্লা ট্রেনের যাতায়াতকারী যাত্রীরা, এমনটাই অভিযোগ উঠেছে। কবে নাগাদ এই কাজ সম্পন্ন হবে তা সঠিকভাবে বলতে পারছেন না রেলস্টেশনের আধিকারিকরা। বছর দুই আগে দেশের ৫০৮ টি অমৃত রেলস্টেশনের সঙ্গে কোচবিহারের একমাত্র দিনহাটা রেল স্টেশনের ভার্চুয়াল উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর কাজ শুরু হলেও সেই কাজ খুবই ধীর গতিতে চলছে এমনটাই অভিযোগ। রেল যাত্রীদের অভিযোগ, দিনহাটা রেলস্টেশনের আধুনিকীকরণের কাজ শুরু হয়েছে। যাত্রীদের বসার কোন ব্যবস্থাই নেই, পানীয় জলের সমস্যা থেকে শুরু করে অন্যান্য পরিকাঠামো নেই। ফলে প্রতিনিয়ত সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি তাদের অভিযোগ, কিছুদিন কাজ চলার পর মাঝেমধ্যেই ধারাবাহিকভাবে কাজ বন্ধ থাকছে। কেবল তাই নয়, এত বড় প্রকল্পের কাজ গুটি কয়েক শ্রমিক দিয়ে করানো হচ্ছে। ফলে কাজের কোন গতি নেই।
দিনহাটার বাসিন্দা অসিত চক্রবর্তী, সঞ্জয় সাহা, নির্মল রাউথ প্রমূখরা বলেন, দিনহাটা রেলস্টেশনের কাজ যেভাবে হচ্ছে তা মেনে নেওয়া যায় না। স্বল্প সংখ্যক শ্রমিক দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে। ট্রেন আসার সময় পর্যন্ত দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে রেল স্টেশনে থাকতে হচ্ছে। সমস্যার মধ্যে পড়ছেন অনেক বয়স্ক যাত্রী। রাজ্যের তিনটি রেলস্টেশন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী। অথচ দিনহাটা রেল স্টেশনের আধুনিকীকরণের কাজ কবে শেষ হবে তা ঠিক বোঝা যাচ্ছে না। বলাবাহুল্য, ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশের দেশের ১০৩ টি অমৃত ভারত স্টেশন উদ্বোধন করেছেন। যেখানে স্টেশন গুলির আধুনিকীকরণ করা হয়েছে তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের একটি স্টেশনও উদ্বোধন হয়েছে। কিন্তু উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের গুরুত্বপূর্ণ দিনহাটা স্টেশনের আধুনিকীকরণের কাজ কবে শেষ হবে সেই প্রশ্নই করছেন এলাকাবাসী থেকে শুরু করে রেলযাত্রীরা।উল্লেখ্য, দিনহাটা রেল স্টেশন দিয়ে উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস থেকে শুরু করে বেশ কিছু ট্রেন যাতায়াত করে। যাত্রীদের বসার সুবিধা থেকে শুরু করে অন্য বেশ কিছু সুবিধা না থাকায় সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।
