জলপাইগুড়ি পুরসভার আম্রুত প্রকল্পের কাজে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার জলপাইগুড়ি শহর লাগোয়া উত্তর সুকান্ত নগর কলোনি এলাকায় উত্তেজনা ছড়াল। পুরসভা ও পুলিশ বাহিনীর হস্তক্ষেপে দীর্ঘক্ষণ বাদে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। স্থানীয় এক বাসিন্দার অভিযোগ, তাঁদের রেকর্ড জমির উপর দিয়ে আম্রুত প্রকল্পের জলের পাইপ লাইন নিয়ে যাওয়া হচ্ছে অথাৎ বসানো হচ্ছে। যেহেতু রেকর্ড জমি রয়েছে এই কারণে সেই জমির ক্ষতিপূরণের দাবি জানায় এক গ্রামবাসী।

তিস্তা নদীর জল পরিশ্রুত করে পুরসভা এলাকায় সরবরাহ করার উদ্দেশ্য নিয়ে ২০১৬-১৭ সালে আম্রুত জল প্রকল্পের কাজ শুরু করে জলপাইগুড়ি পুরসভা। কেন্দ্র রাজ্য বরাদ্দে প্রায় ১৫০ কোটি টাকার প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। চলতি বছর জলের পরিষেবা শুরু হবে। শহরের প্রায় দুই লক্ষ ৩০ হাজার বাসিন্দাদের পাশাপাশি যে এলাকা দিয়ে জলের পাইপ আনা হবে খড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বিবেকানন্দ পল্লী এবং সুকান্ত নগর কলোনির একাংশ বাসিন্দা পানীয় জল পাবেন। এই কারনে পুরসভার পক্ষ থেকে বিভিন্ন দপ্তরের কথা বলে অতিরিক্ত প্রায় ৭ কিলোমিটার পাইপ লাইন বসানো হয়েছে। কিন্তু তার পরেও ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের ৫৫ মিটার আগে পাইপ লাইন বসানোর কাজে বাঁধা দিয়ে বসেন উত্তর সুকান্ত নগর কলোনীর বাসিন্দা।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছান পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায়, পুরসভার এক্সিকিউটিভ অফিসার দেবদুলাল পাত্র সহ স্থানীয় কাউন্সিল এবং কোতয়ালী থানার পুলিশ। যদিও পুরসভা এবং পুলিশের হস্তক্ষেপে শেষে পাইপ লাইন বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা জিয়াউল ইসলাম দাবি করে বলেন, ” আমাদের রেকর্ড জমি দিয়ে পাইপ নেওয়া হচ্ছে। জমি ক্ষতিপূরণের দাবি জানাই।” সৈকত বলেন, কারও রেকর্ড ল্যান্ডের ওপর দিয়ে পাইপ লাইন বসানো হচ্ছে না। সরকারি রাস্তার পাশে কাজ করা হচ্ছে। সুতরাং বাঁধা দেওয়ার কোনো প্রশ্ন ওঠেনা।”