ধীমান রায়, জলপাইগুড়ি:জলপাইগুড়ি জেলায় যক্ষ্মা রোগ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। বিশ্ব যক্ষ্মা দিবসকে কেন্দ্র করে এ দিন সচেতনতা মুলক শোভাযাত্রা ও এক সেমিনারের আয়োজন করা হল সোমবার। এ দিনের সেমিনারে যক্ষ্মা রোগীদের দত্তক নেওয়া (নিক্ষয় মিত্র) শুভানুধ্যায়ীদের সম্মান জানানো হয়। জলপাইগুড়ি জেলাশাসকের দপ্তর,জেলা পুলিশ সুপারের উদ্যোগে অনেকেই যক্ষ্মা রোগীদের সাহায্য করার জন্য নিক্ষয় মিত্র হয়েছেন। এদিন বিশ্ব যক্ষ্মা দিবসে অনুষ্ঠানে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানান, চা বাগান অধ্যুষিত এলাকায় আর্থ সামাজিক অবস্থা উন্নত না থাকার দরুন রোগ ব্যধি বাসা বাঁধছে।
২০২৪ সালে মোট যক্ষ্মা রোগী ছিল ৩৩৬২ জন। চিকিৎসায় সাড়া দিয়েছে ৩০২৬। ১৭৭ জন রোগী মারা গেছে।২০২৫ সালে এখন পর্যন্ত মোট রোগীর সংখ্যা ৭০২ জন। চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ১৭ জন রোগী মারা গেছে যক্ষ্মা রোগে।২০২৪ সালে জলপাইগুড়ি জেলার ১০ টি টিবি ইউনিটের মধ্যে মোট জনসংখ্যার ২৪১৬৭৫৫ জনের মধ্যে ৩৩৬২ জন রোগীর টিবি হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে।

জলপাইগুড়ি জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডা: অসীম হালদার বলেন, আমাদের জেলায় আর্থ সামাজিক অবস্থা উচুর দিক তা নয়। এখানকার মানুষ বেশির ভাগ চা শ্রমিক। তারা চা বাগানে কাজ করেন। বানারহাট, মালাবাজার, নাগরাকাটা, মেটেলি সহ বিভিন্ন ব্লকে চা বাগানের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।চা বাগান অধ্যুষিত এলাকা।আর্থ সামাজিক অবস্থা ভালো না হলেই সেখানে রোগের বাসা বাঁধে।বসবাসের উপযোগী থাকে না।ভেক্টরবন ডিজিজ বাড়ে। যক্ষ্মা রোগী প্রতি মাসে ৫০০ টাকা করে ছয় মাসের খরচ দিয়ে হয় নিক্ষয় মিত্রদের। এমন অসস্থায় যক্ষ্মা রোগীদের সাহায্য করে যক্ষ্মা রোগীদের অনেকটাই রোগ সারাতে সাফল্য পেয়েছে জলপাইগুড়ি।