জমি বিবাদের জেরে দু’পক্ষের মধ্যে বচসা। ধানের চারা রোপণ করতে বাধা।দু’পক্ষের মধ্যে মারামারিতে জখম ৯ জন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।মারধরের ছবি ভাইরাল। ঘটনাটি ঘটেছে মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লকের মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নাজিরপুর গ্রামে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,বাগমারা গ্রামের বাসিন্দা মহম্মদ জসিমুদ্দিন ও আকবর আলি নাজিমপুর গ্রামের বাসিন্দা সোহরাব আলির কাছ থেকে এক বছর আগে ছ’লক্ষ টাকার বিনিময়ে ছ’কাঠা জমি কিনে নেন।

অভিযোগ,সোহরাবের কাকা সেইফুল হক ও মৈফুল হক সহ তার আরাও তিন কাকার ছেলেরা তাঁদেরকে জমি চাষ করতে বাধা দেন। জসিমুদ্দিন জমিতে ধানের চারা রোপণ করছিলেন ও আকবর মাখনা তুলছিলেন। সেই সময় বিবাদীরা লাঠিসোটা,লোহার রড ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে জমিতে গিয়ে বাধা দেন বলে অভিযোগ।এই নিয়ে দু’পক্ষ হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন।জসিমুদ্দিন পক্ষের সাতজন এবং অভিযুক্ত সেইফুল ও মৈফুল পক্ষের দু’জন জখম হয়।হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীন হাসপাতালে তাদের চিকিৎসা চলছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। এক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
জসিমুদ্দিন বলেন,আমি জমি কিনে নিয়েছি।আমার কাছে দলিল ও খতিয়ান রয়েছে।তা সত্ত্বেও তারা গায়ের জোড়ে জমিতে উঠতে বাধা দেয়।এদিন জমিতে ধানের চারা রোপণ করছিলাম।তারা দলবল নিয়ে এসে ধানের চারা রোপণে বাধা দেন।ধানের চারা তুলে ফেলে দেন। প্রতিবাদ করলে আমাদের সাতজনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে জখম করে দিয়েছে।দু’জন আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে।চিকিৎসা চলছে। থানায় অভিযোগ করেছি।
অভিযুক্তদের দাবি,জমিটি তার বাবার নামে পাট্টা রয়েছে।সোহরাব কাউকে না জানিয়ে জমিটি বিক্রি করে দিয়েছে।সেই নিয়ে ঝামেলা।
হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ সুত্রে খবর ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।