তোমরা বিএসএফকে খিচুড়ি খাওয়াচ্ছো, তো দিল্লি পুলিশকে বিরিয়ানি খাওয়াচ্ছো, আর রাজ্যটাকে রসাতলে পাঠাচ্ছো। এটা হবে না। হতে পারে না। বৃহস্পতিবার নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখান থেকেই ভার্চুয়ালি কোচবিহারের জেলা শাসক অরবিন্দ কুমার মিনা ও কোচবিহার জেলা পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্যকে এভাবে ভৎর্সনা করলেন রাজার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এদিন এই প্রশাসনিক বৈঠকে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী তথা দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহ মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে জানান, যে দিল্লিতে কর্মরত দিনহাটা থেকে যাওয়া পড়ে যায় শ্রমিকদের ঠিকানা এবং পরিচয় যাচাই করতে এসেছেন দিনহাটার বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকায় এবং রাজ্য পুলিশের সাথে কোন রকম যোগাযোগ না করেই তারা নিজেদের মতো এই যাচাইয়ের কাজ করে চলেছেন এই পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে। আর তাদের সাথে রাজ্য পুলিশ না থাকায়, রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চাইছে এক বিরোধী রাজনৈতিক দলের কর্মীরা, তারা সীমান্তবর্তী এলাকার এই সমস্ত পরিচয় শ্রমিকদের পরিবারের উদ্দেশ্যে বলতে শুরু করেছেন যে তাদের সাথে না থাকলে এই সমস্ত সমস্যার মুখেই পড়তে হবে তাদের।
মুখ্যমন্ত্রী মন্ত্রীর মুখ থেকে এই বিষয়টি শুনেই এদিন অত্যন্ত রাগান্বিত হয়ে পড়েন। ভার্চুয়ালি তিনি কোচবিহারের জেলা শাসক অরবিন্দ কুমার মিনা এবং কোচবিহার জেলা পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্যের সাথে কার্যত ধমকের সুরেই কথা বলেন।
রাজ্য পুলিশের কাছে অনুমতি না নিয়ে, কেন অন্য রাজ্যের পুলিশ এসে এভাবে যাচাইয়ের কাজ করছে তা নিয়ে এদিন তিনি প্রশ্ন তোলেন। শুধু তাই-ই নয়, একজন পুলিশ সুপারের যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে।