ষোলো দিন ধরে নিখোঁজ গৃহবধূ।আবার ছয় দিন আগে এলাকার একটি পাটের জমি থেকে উদ্ধার কঙ্কালসার পঁচাগলা মৃতদেহ। মৃতদেহের সঙ্গে উদ্ধার হওয়া হাতের বালা দেখে গৃহবধূর বাবার বাড়ির লোকেদের দাবি ওই দেহ তাদের মেয়ের।স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির লোকেরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ। ডিএনএ টেস্টের দাবি। নাবালক সন্তানের মুখে মায়ের উপর অত্যাচারের হারহিম করা কাহিনী। কেন এখনো অধরা অভিযুক্ত স্বামী এবং শ্বশুর বাড়ির লোকেরা। পুলিশের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট পরিবার।

চলতি মাসের ২৩ তারিখ মালদার চাঁচলের নদীসিক এলাকার পাট ক্ষেত থেকে একটি কঙ্কালসার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। দেহের পাশে পড়ে থাকা হাতের বালা এবং চুরি দেখে পুলিশ প্রাথমিক অনুমান করে ওই মৃতদেহ কোনো মহিলার। কঙ্কালসার পঁচা গলা দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এখনো আসেনি। রিপোর্টের অপেক্ষায় পুলিশ। অন্যদিকে চাঁচল থানার বৈরগাছি এলাকার এক গৃহবধূ চলতি মাসের তেরো তারিখ থেকে নিখোঁজ। তার বাবার বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুরের কুশিদা এলাকায়। বাবার বাড়ির লোকেরা চাঁচল থানায় অভিযোগ দায়ের করে।

জানা যায় ওই গৃহবধূর দাম্পত্য কলহ দীর্ঘদিন ধরে। শ্বশুরবাড়ির লোকেরা নির্যাতন চালাত। তারা নিখোঁজের পর থেকে পলাতক তার স্বামী। কঙ্কালসার দেহ উদ্ধারের কথা জানতে পেরে বাবার বাড়ির লোকেরা ঘটনাস্থলে যান। বৈরগাছি এলাকায় তার প্রতিবেশী কয়েকজন মহিলাও যান। তারা হাতের বালা দেখে দাবি করেন ওই দেহ তাদের মেয়ের। স্বামী এবং শ্বশুর বাড়ির লোকেরা খুন করেছে। যদিও দেহ দেখে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান ওই দেহ দেড় থেকে দুই মাসের পুরোনো। পরিবারের লোকেদের অভিযোগ পুলিশ সঠিক তদন্ত করছে না। তার স্বামী পলাতক। স্বামী কে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে না পুলিশ।গৃহবধুর ছয় বছরের নাবালক সন্তান বলেন তার সামনে তার বাবা এবং পিসি নিখোঁজের দিন ভোররাতে তার মাকে মারধর করে ঘর থেকে নিয়ে গেছিল। পুলিশ সূত্রে খবর ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত কিছুই নিশ্চিত হওয়া সম্ভব নয়। পরবর্তীতে রিপোর্টের ভিত্তিতে ডিএনএ টেস্ট করে তবে নিশ্চিত হওয়া যাবে। সমগ্র ঘটনা নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছে চাঁচল থানার পুলিশ। মহকুমা পুলিশ শাসক সোমনাথ সাহা জানান, পরিবারের লোকেরা চাইলে তারা অবশ্যই ডিএনএ টেস্ট করতে পারে।