এবার আসাম সরকারের এনআরসির নোটিশ পেলেন তুফানগঞ্জ ২নং ব্লকের শালবাড়ি ১নং গ্রাম পঞ্চায়েতের বাঁশরাজা গ্রামের বাসিন্দা মমিনা বিবি। ফরেনার্স ট্রাইবুনাল-৯ ধুবড়ি, আসাম থেকে এই এনআরসির নোটিশ পাঠানো হয়েছে তাকে।
জানা যায়, প্রায় ৪৫বছর আগে আসাম রাজ্যের আগমনী এলাকায় বিয়ে হয় জন্মসূত্রে এই বাঁশরাজা এলাকার বাসিন্দা মমিনা বিবি-র। দেড় বছর এই আগমনী এলাকায় ছিলেন মমিনা বিবি এরপর স্বামীকে নিয়ে তিনি চলে আসেন তার জন্মস্থান এই বাঁশরাজা গ্রামে। এখানেই বাড়ি করে থাকতে শুরু করেন তিনি। তার স্বামী ছিলেন কৃষি কাজের সাথে যুক্ত। এখানেই দুই সন্তানের জন্ম হয় তার। এরপর তার স্বামী তাকে তালাক দিয়ে চলে যান। পরবর্তীতে এই বাঁশরাজা এলাকারই আরেক জনের সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন করেন মমিনা বিবি। বর্তমানে দুই ছেলেকে নিয়ে এখানেই বসবাস করছেন ৬০ বর্ষীয় এই মহিলা। এনআরসি নোটিশ পাওয়ার পর স্বাভাবিক ভাবেই আতঙ্কিত তিনি বলে এদিন জানান।

এনিয়ে ৩বার এনআরসির নোটিশ এসেছে তার কাছে বলে এদিন জানান খোদ মমিনা বিবি। গত দুবার নোটিশ আসার পরেও তিনি যাননি ধুবড়ি এনআরসি দপ্তরে। আর এবার এনআরসি দপ্তরে না গেলে, তাকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে বলে আশঙ্কিত এই মহিলা। এই মুহূর্তে সীমাহীন আতঙ্ক ঘিরে ধরেছে তাকে।
এই নোটিশ আসায় আতঙ্কিত এই মমিনা বিবির ছেলে মোজাম্মেল মিঞা। তিনি বলেন, তার জন্ম এখানে। তার মা এখানেই জন্মগ্রহণ করেছেন। তবে কেন তার মায়ের নামে এ ধরনের নোটিশ এল? তা কোন ভাবেই বোধগম্য হচ্ছে না তার।
এভাবে আসাম সরকার এই বাংলার মানুষকে হেনস্তা করছে। তা কোন ভাবেই মেনে নেওয়া হবে না বলে এদিন স্পষ্ট জানিয়ে দেন তুফানগঞ্জ ২নংব্লক তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি মানিক বর্মন।
এ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা উজ্জল কান্তি বসাক বলেন, সরকারি ব্যবস্থাপনায় এই রাজ্যে ভুয়ো ভোটার কার্ড থেকে আধার কার্ড সহ ভূয়ো সার্টিফিকেট তৈরির কারখানা হয়েছে। এই এনআরসি নোটিশটিও ভুয়ো কিনা? তা খতিয়ে দেখতে হবে।