এক যুবককে অপহরণ করে মুক্তিপণের দাবি বাগডোগরা থানার সাদা পোশাকের পুলিশের গাড়ির ড্রাইভারের বিরুদ্ধে , এমনকি পুলিশও নিগ্রহ করেছে বলে অভিযোগ।
ঘটনার বিবরণে বাগডোগরা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ গত ১৬ তারিখ রাতে মেডিকেল থেকে ফিরছিল নিশান্ত রায় নামের পুঠিমারীর এক যুবক। সেখানে ভুলবশত পুলিশ লেখা এক গাড়ির লুকিং গ্লাস তার হাত লেগে ভেঙে যায়। অভিযোগ সেই পুলিশ লেখা গাড়ি করে বাগডোগড়ার পুঠিমারি এলাকা থেকে নিশান্ত রায় কে অপহরণ করে নিয়ে যায় কয়েকজন।

অনেক খোঁজাখুঁজির পর রাত দুটো নাগাদ বাগডোগরা থানায় অভিযোগ জানাতে হাজির হয় তার পরিবার। অভিযোগ সেখানেই বাগডোগরা থানার সাদা পোশাকের পুলিশের ড্রাইভার মুকেশ রায় নিশান্তের পরিবারকে জানায় তার ছেলে গাড়ির লুকিং গ্লাস ভেঙে দিয়েছে।। পরবর্তীতে মুক্তিপণ হিসেবে এক লক্ষ টাকা দাবি করে বাগডোগরা থানার সাদা পোশাকের পুলিশের গাড়ির ড্রাইভার মুকেশ রায়। নিশান্তের পরিবারের আরও অভিযোগ, সেই রাতে তারা থানায় পৌঁছলে বাগডোগরা থানার সাদা পোশাকের পুলিশের অফিস ঘর থেকে তার পুত্রের চিৎকার শুনতে পারেন তারা। পরের দিন দুপুর ২টা নাগাদ বেল বন্ডে ছেলেকে ছাড়িয়ে নিয়ে গিয়ে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়। পাশাপাশি বাগডোগরা থানার সাদা পোশাকের পুলিশ আধিকারিক বিনুপ মাহাতো অভিযোগকারীর ভাস্তার থেকে বেশকিছু মুছলেখাও লিখিয়ে নেয় । নিশান্তের হাতে পায়ে পিঠে শরীরের একাধিক জায়গায় কাল সিটে সহ গভীর ক্ষত রয়েছে। বুধবার রাতে ঘটনার বিবরণে নিশান্তের মা কল্পনা রায় বাগডোগরা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। ঘটনায় মোট পাঁচজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে নিশান্তের পরিবার। ঘটনার তদন্ত ইতিমধ্যে শুরু করেছে পুলিশ। অপরদিকে এই মুকেশ রায় কে বিভিন্ন সময় দেখা গিয়েছে পুলিশ লেখা গাড়ি নিয়ে ঘুরতে। নিজের ব্যক্তিগত কারণে বিভিন্ন সময় ব্যবহার করে সেই গাড়িগুলি। এমনকি পুলিশের অস্থায়ী ড্রাইভার হলেও নিজের বাইকে পুলিশ লিখে রেখেছে অভিযুক্ত। ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্তে পুলিশ।