পবিত্র নামাজের পর শুভেচ্ছা বিনিময়। খুশির আলিঙ্গন এবং সৌভ্রাতৃত্বের বার্তা ছড়িয়ে দিয়েই শনিবার উদ্ভাসিত হলো পবিত্র ঈদুল আজহার স্নিগ্ধ সকাল। আনন্দ, উচ্ছ্বাস আর ভালোবাসা বিনিময়ের মধ্য দিয়েই কোচবিহারে বকরি ঈদ কার্যত নিল উৎসবের চেহারা। এদিন কোচবিহার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে নামাজ আদায় করেন ধর্মপ্রাণ ইসলাম ধর্মাবলম্বী মানুষেরা।

ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর মুসলিম উম্মাহর অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব এই পবিত্র ঈদুল আজহা। সারা বিশ্বের মুসলমানরা হিজরি বর্ষের দ্বাদশ মাস জিলহজের ১০ তারিখে ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ উদযাপন করেন। মানব মনে নৈতিকতা ও ত্যাগের মহিমাকে দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠার প্রবল প্রেরণা ও তাগিদে উদযাপিত হয় এই উৎসব। আল্লাহর জন্য ত্যাগ তথা কোরবানি করার প্রস্তুতির কারণে সারা বিশ্বের মুসলমানরা আল্লাহর কাছে নিজেদের সোপর্দ করে দেওয়ার লক্ষ্যে পবিত্র হজের পরদিন ঈদুল আজহা উদযাপন ও পশু কোরবানি করে থাকেন। কোরবানির মধ্য দিয়ে নিজের ভেতরের পশুত্বকে পরিহার করা এবং হজরত ইব্রাহিম এর মহান ত্যাগের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ঈদের দিন সকালেই মুসলিমরা ঈদগাহ বা মসজিদে দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ আদায় করেন। আনন্দের দিনে অশ্রুসিক্ত হয়ে চিরকালের জন্য চলে যাওয়া স্বজনের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে আল্লাহর দরবারে মোনাজাত করেন এদিন।
এদিন নামাজ শেষে কোচবিহার জেলা আঞ্জুমান ই ইসলামিয়া সংগঠনের কোচবিহার জেলা সম্পাদক মোজাফফর হোসেন খন্দকার বলেন, আজ নামাজ শেষে মুসলিম ধর্মাবলম্বী মানুষেরা কোরবানি দেবেন। এই কোরবানি শুধু পশু কোরবানি নয়, আমাদের মধ্যে হিংসা বিদ্বেষ সহ যে খারাপ গুণ, খারাপ চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য আছে, তার সবগুলিকেই কোরবানি দেওয়া হবে। এটাই কোরবানির মূল উদ্দেশ্য। ভারতবর্ষ সহ গোটা বিশ্বে সমস্ত রকম হানাহানি, হিংসা, জাতিবিদ্বেষ, মনোমালিন্য সমস্ত কিছুকে ভুলে যাওয়ার এদিন বার্তা দেন তিনি।