অনলাইন আর্থিক প্রতারণা মামলায় বিহারের দ্বারভাঙ্গা গ্রেপ্তার হওয়া মোস্ট ওয়ান্টেড প্রতারক
শুভজিৎ বল্লভ কে ৬দিনের পুলিশ হেফাজত ও তার স্ত্রী রিয়া হালদার বল্লভকে ১০দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিলেন তুফানগঞ্জ আদালতের এসিজিএম শাবানা পারভিন। বুধবার এই দুজনকে পেশ করা হয় আদালতে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায় ধুতরা হলেন শুভজিৎ বল্লভ ও তার স্ত্রী রিয়া হালদার বল্লভ। তাদের বাড়ি নদীয়া জেলার রানাঘাটে। গত ২৮ শে জুলাই বিহারের দ্বার ভাঙ্গার একটি হোটেল থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

থানা সূত্রে খবর, বালাভুত গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ বালাভুতের বাসিন্দা খুরশিদ আলমের বালাভুত বাজারে একটি কাস্টমার সার্ভিস পয়েন্ট রয়েছে। গত ২৩ মে একটি অজানা নম্বর থেকে ওই যুবকের কাছে ফোন আসে এবং বিএসএফের আধিকারিকের পরিচয় দিয়ে নির্দিষ্ট একটি অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়ে দেওয়ার কথা বলে। পাশেই বিএসএফ ক্যাম্প থাকায় মাঝেমধ্যেই বিএসএফ কর্মীরা তার কাছে এরকম করে টাকা পয়সা নিতো আবার দিয়েও দিত। সেই মতে বিশ্বাস করে খুরশিদ আলম দুই ধাপে ৮৫ হাজার টাকা দিয়ে দেন। এরপর পাশেই বিএসএফ ক্যাম্পে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন ওই নামে কোন আধিকারিক নেই। তিনি প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে ২৪শে মে সাইবার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন এবং ৪ঠা জুন তুফানগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, নদীয়া জেলার রানাঘাটের ধানতলা এলাকার শুভজিৎ বল্লভ নামে এক ব্যক্তি এই কর্মকাণ্ডের সাথে যুক্ত. । আরো জানা যায় সাহেবগঞ্জ থানায় একইভাবে এক ব্যক্তি প্রতারিত হয়েছেন এবং অভিযোগ দায়ের করেন। এরপরেই তুফানগঞ্জ ও সাহেবগঞ্জ থানার পুলিশ এবং সাইবার ক্রাইমের তরফে যৌথভাবে বিহারের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় এবং ২৮ শে জুলাই বিহারের দ্বার ভাঙ্গার একটি হোটেল থেকে দুজনকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ আরো জানতে পারে সংশ্লিষ্ট নম্বর ব্যবহার করে ২০২৪ সালে গোটা দেশে ৮৭৭ টি প্রতারণা করেছে ওই ব্যক্তি। শুধু 2025 সালে এখনো পর্যন্ত ৬৮ টি প্রতারণা করেছে ওই ব্যক্তি যার মধ্যে কোচবিহার জেলায় ১৯ টি। ২০২৫ সালে তার আর্থিক প্রতারণার পরিমাণ প্রায় ৪৮ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা বলে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিশ। বিহার ,উত্তর প্রদেশ ,তেলেঙ্গানা সহ বিভিন্ন রাজ্যের প্রতারণার জাল বিছিয়েছে ওই ব্যক্তি। একাধিক রাজ্য বদল করে হোটেলে বসে এই কাজ করতেন বলে জানা যায়।